Advertisement
E-Paper

শ্রমিকদের তুমুল ক্ষোভ, কাঠগড়ায় রেল কর্তৃপক্ষ

এ দিন দুটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে আসে।

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৬:৫৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

স্পেশ্যাল ট্রেনে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল। যার জেরে রবিবার নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় কোচবিহারের বাসিন্দা বহু পরিযায়ী শ্রমিককে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের ইস্তফা দাবি করেছেন। যদিও ওই অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোর্টেই বল ঠেলেছেন রেলের কর্তারা।

এ দিন দুটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে আসে। বিকেল ৫টা নাগাদ কেরলের কোঝিকোড থেকে প্রথম ট্রেনটি আসে। আগে থেকেই অবশ্য প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে প্রস্তুত ছিল। শ্রমিকদের কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যেতে স্টেশনের বাইরে অপেক্ষায় ছিল প্রচুর বাস।

কিন্তু ট্রেন স্টেশনে ঢোকার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গোলমাল বাধে।

শুধু আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারাই যেন ট্রেন থেকে নামেন সে জন্য পুলিশের তরফে মাইকিং শুরু হয়। দেখা যায়, কার্যত কেউই ট্রেন থেকে নামছেন না। এরই মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বুঝতে পারেন, ট্রেনে শ্রমিক যাত্রীদের সিংহভাগই কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। ফলে এক এক তাঁদের নামিয়ে থার্মাল স্ক্রিনিং করে বাসে তুলে দিতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা।

ওই সময় শ্রমিকদের একাংশ ক্ষোভ উগরে অভিযোগ করেন, তাঁদের গন্তব্য নিউ কোচবিহার স্টেশন। অথচ, সেখানে চেন টানা সত্ত্বেও ট্রেন দাঁড়ায়নি।

ওই শ্রমিকদের দুর্ভোগের অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ট্রেন থেকে প্রায় অর্ধেক যাত্রী নেমে যাওয়ার পর স্টেশনে রেলের তরফে মাইকিং করে বলা হয় ট্রেনটি আবার নিউ কোচবিহারে যাবে। হুড়োহুড়ি করে তখন ট্রেন উঠতে শুরু করেন অনেকে। অনেকের বাস আবার ততক্ষণে কোচবিহারে রওনা হয়ে গিয়েছে।

গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা। কোচবিহারের বাসিন্দা অজয় সরকার অভিযোগ করেন, ‘‘পেটে এক দানা খাবার নেই। আর রেলকর্তারা আমাদের নিয়ে এ ভাবে ছেলেখেলা করছেন।’’

গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া গরিব শ্রমিকদের মানুষ বলেই মনে করে না। সেজন্যই তাঁদের নিয়ে এ ভাবে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। অবিলম্বে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’’

তবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ অবশ্য বলেন, "শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে সেটা রাজ্য সরকারই ঠিক করে। সেই অনুযায়ী কোঝিকোড থেকে আসা ট্রেনটি চলেছে।"

এদিকে সন্ধায় নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে আরেকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পৌঁছয়। তাতে অবশ্য খুব বেশি সংখ্যক যাত্রী ছিলেন না।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy