নতুন দায়িত্ব পেতেই সাতসকালে হাজির হলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়িতে। প্রবীণ নেতাদের প্রণাম করে দার্জিলিং জেলা সমতলে তৃণমূলকে প্রথম স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কী করণীয় ও পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করলেন নতুন সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। বুধবার সকালে পুরপ্রশাসক গৌতম দেব ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের বাড়ি যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে পাপিয়া।
আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন গৌতম ও রঞ্জনের আশীর্বাদ নিয়ে তার পর জেলা কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে দেখা করবেন দলের অন্য নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। এ দিন সকালে কলেজপাড়ায় গৌতমের বাড়িতে যান পাপিয়া। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন। তাঁকে নতুন পদের জন্য শুভেচ্ছাও জানান গৌতম। বলেন, “দলের এক ব্যক্তি, এক পদ নীতিকে স্বাগত। নবীন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। না হলে সিপিএমের মতো শূন্যতা তৈরি হবে দলগুলিতে। তৃণমূল এখন নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ে চলছে। রবির মেয়ে পাপিয়া আমার কন্যা সমান। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর পাশে সবসময় থাকব।”
এর পর প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকারের বাড়িতে যান পাপিয়া। সেখানে মিষ্টি খাইয়ে পাপিয়াকে শুভেচ্ছা জানান রঞ্জন। রঞ্জনের কথা, “দার্জিলিং জেলায় এখন তৃণমূল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দলকে প্রথমে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ভবিষ্যতে পাপিয়াকে সমস্ত সহযোগিতা করা হবে।” এর পর জেলা কার্যালয়ে যান পাপিয়া ঘোষ। সেখানেও দলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সারেন।
এর পর পাপিয়া বলেন, “একযোগে সকলকে চলতে হবে। মানুষের দুয়ারে পৌঁছাতে হবে। দলনেত্রী যেভাবে ভরসা করেছেন আমার উপর তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ। বাবার থেকে কিছুটা রাজনীতি শিখেছি। গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার আমার কাছে অভিভাবক। তাঁদের থেকেও শেখার অনেক কিছু রয়েছে। সকলে মিলে কাজ করব।”