Advertisement
০১ অক্টোবর ২০২৩

নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জিটিএ

জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শাসিত এলাকায় পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য সরকার কেন উদ্যোগী হবে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে জিটিএ-র পক্ষ থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০২:৫৪
Share: Save:

জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শাসিত এলাকায় পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য সরকার কেন উদ্যোগী হবে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে জিটিএ-র পক্ষ থেকে।

জিটিএ-র আইনজীবী অয়নাভ রাহা জানান, রাজ্য সরকার ২০১০ সালে ঘোষণা করেছিল নতুন করে আর সারা রাজ্যে পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না। ক্ষমতায় নতুন সরকার আসার পরে ২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, দার্জিলিং জেলার ৪৬টি প্রাথমিক স্কুলে ৪৬ জন পার্শ্বশিক্ষক নিযুক্ত করা হবে। ওই শিক্ষকেরা লেপচা ভাষার শেখাবেন।

অয়নাভবাবু জানান, রাজ্য সরকার ২০১৪ সালের ৫ জুন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে নির্দেশ দেয়, ওই পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিতে। পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয় জেলাশাসককে।

তার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৪ জুন জিটিএ-র শিক্ষা দফতরের কর্তা রোশন গিরি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন। তাতে বলা হয়, দার্জিলিং জেলা জিটিএ-র অধীন। সেখানে পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বা নিয়োগ সবকিছুই জিটিএ-র বিবেচনাধীন। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও এক্তিয়ার নেই।

জিটিএ-র অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা দফতর ওই চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। উল্টে চলতি বছরের ১০ মার্চ দার্জিসিংয়ের জেলাশাসক পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই আগামী ২ এপ্রিল পাহাড়ের তিন মহকুমায় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার সহ সম্পাদক তথা জিটিএ সদস্য বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে রাজ্য সরকারই নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু প্রশাসন জিটিএ চুক্তি লঙ্ঘন করে আইন ভেঙেছে, সে কারণেই আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।” হাইকোর্ট থেকে মোর্চার অনুকুলে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা হলে, আগামী ২ এপ্রিল বন্ধের কোনও পরিবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য বিনয়বাবু এ দিন কিছু বলতে চাননি।

জিটিএ-র আইনজীবী এ দিন জানান, ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ পার্শ্বশিক্ষক পদে আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ মার্চ বাছাই করা আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষার পরে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে আগামী ২৫ মার্চই জিটিএ-এর আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্য হয়েছে বলে মোর্চা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE