E-Paper

রোদের দাপটে দাবি উঠল সকালে স্কুলের

জলপাইগুড়ি জেলায় ১২ শতাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। হাই স্কুল লাগোয়া হাতে-গোনা কয়েকটি স্কুল বাদ দিলে, বাকি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে দিবা বিভাগে পঠনপাঠন চলে।

অভিষেক সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫০
গরমে নাজেহাল স্কুল পড়ুয়ারাও, তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে টিফিন টাইমে পেয়ারা কেনার ব্যস্ততা পড়ুয়াদের,

গরমে নাজেহাল স্কুল পড়ুয়ারাও, তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে টিফিন টাইমে পেয়ারা কেনার ব্যস্ততা পড়ুয়াদের, জলপাইগুড়ির একটি স্কুলের সামনে। ছবি - সন্দীপ পাল

তীব্র দাবদাহের জেরে টিফিনের সময় মাঠে খেলা আগেই বন্ধ হয়েছে পড়ুয়াদের। ক্লাসরুমে ফ্যানের নীচে বসেও স্বস্তি নেই খুদেদের। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের সময় এগিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। একই দাবি বাম ও তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের। বিষয়টি উপর মহলে জানাচ্ছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ।

জলপাইগুড়ি জেলায় ১২ শতাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। হাই স্কুল লাগোয়া হাতে-গোনা কয়েকটি স্কুল বাদ দিলে, বাকি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে দিবা বিভাগে পঠনপাঠন চলে। দিনকয়েক ধরেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর্দ্রতা ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে গরম। প্রাতঃবিভাগের খুদে পড়ুয়াদের তেমন সমস্যা না হলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দিবা বিভাগের পড়ুয়ারা। ক্লাসে বসেও স্বস্তি নেই। পড়তে-পড়াতে একই সঙ্গে দর দর করে ঘামছেন পড়ুয়া ও শিক্ষক। এই গরমে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি, জেলার বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুলে পানীয় জল সরবরাহ -সহ পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। দুপুরের তীব্র গরমে ওই সব স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

অন্য দিকে, হাসপাতালে বাচ্চা কোলে মায়েদের ভিড় বাড়ছে। গরমের কারণে অনেক অভিভাবকই প্রতিদিন শিশুদের স্কুলেও পাঠাচ্ছেন না। অভিভাবকদের একাংশ চাইছেন, গরম না কমা পর্যন্ত দিবা বিভাগের পঠনপাঠনের সময় পরিবর্তন করে সকালে করা হোক। এক পড়ুয়ার বাবার কথায়, ‘‘চড়া রোদে স্কুলে যাতায়াতেও বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে। ক্লাসরুমেও গরম। তা ছাড়া, বাচ্চারা তো একটু হুটোপুটি করবেই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘টিফিনের সময়ে অনেক বাচ্চাই কাটা ফল কিনে খাচ্ছে। বাড়ি ফেরার পথে ঠান্ডা পানীয় পান করেছে অনেকেই। এর ফলে, শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ছে।’’

এবিপিটিএ -র জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, ‘‘আমাদের এখানে জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে অগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত তীব্র গরম পড়ে। এ সময়েই গ্রীষ্মের ছুটিটা প্রয়োজন। আমরা পঠনপাঠনের সময় পরিবর্তনের দাবি ডিপিএসসি-কে জানিয়েছি। আবারও জানাব।’’ তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি নির্মল সরকার বলেন, ‘‘সকালে স্কুল চালু করার বিষয়ে আমরা অনুরোধ করেছি কর্তৃপক্ষকে।’’

এ দিন সংসদ চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, ‘‘আমরা উপর মহলে বিষয়টি জানাচ্ছি। নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Heat Waves Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy