প্রহরা: কোচবিহার বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র।
এ বার কোচবিহারে উড়ান চালুর দাবিতে লোকসভায় সরব হলেন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। শুক্রবার জিরো আওয়ারে ওই দাবি তোলেন পার্থবাবু। এ নিয়ে গত ৮ দিনে তিন দফায় নিজের নির্বাচনী এলাকার একাধিক ইস্যুতে সংসদে সরব হলেন তিনি।
গত ১৬ মার্চ সাবেক ছিটমহল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি ও ২২ মার্চ করলা ২ এলাকার বাসিন্দাদের কাঁটাতারের সমস্যা নিয়ে সরব হন তিনি। এ দিন লোকসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী গজপতি রাজুর উপস্থিতিতে কোচবিহারে বন্ধ বিমান পরিষেবা চালুর দাবি জানান। পার্থবাবু বলেন, “সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে দ্রুত কোচবিহারে উড়ান পরিষেবা চালু করা দরকার।” ওই ব্যাপারে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের একটি নির্দেশনামার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০১৪ সালের ৪ মার্চ বিমানমন্ত্রক প্রত্যন্ত এলাকায় উড়ান চালুর ব্যাপারে একটি নির্দেশ জারি করে। ওই তালিকায় দেশের ৪৯টি বিমানবন্দরের নাম রয়েছে। তারমধ্যে কোচবিহার রয়েছে ৯ নম্বরে। অথচ তিন বছর পরেও কোচবিহারে পরিষেবা চালু করা হয়নি।”
সাংসদের ওই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “সাংসদ অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত দাবি লোকসভায় তুলে ধরেছেন। রাজ্য সরকারও ওই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। পরিষেবা চালু হলে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।” কোচবিহারের প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নৃপেন রায় বলেছেন, “উড়ান চালু আমরাও চাই। রাজ্য সরকারও দায়িত্ব এড়াতে পারে না।” উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিনের সদস্য রানা গোস্বামী বলেন, “যেভাবে সাংসদ পরপর সমস্যা তুলে ধরছেন তা প্রশংসনীয়। উড়ান চালুতে কেন্দ্র নজর দেবে বলেও আশা করছি।”
নব্বইয়ের দশকে কোচবিহার-কলকাতা উড়ান চালু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যে পালাবদলের পর একাধিকবার ছোট বিমান চালু করা হলেও তা বেশিদিন চলেনি। বড় বিমান চালাতে রানওয়ে বাড়ানোর কাজও শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy