E-Paper

কড়া শাসক নেতৃত্ব, শান্তি ফিরল বাগানে

জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি, অন্য পক্ষের নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিতে এক নেতা জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাকে ফোন করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জেলা নেতৃত্বের অবস্থান বদলাল না। তার জেরে শান্তি ফিরল জলপাইগুড়ি শহর ঘেঁষা করলাভ্যালি চা বাগানে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে গত বৃহস্পতিনার রাতে চা বাগানে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম করে হামলা চালিয়ে তার ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধমে ছড়ানো হয়। যদিও জেলা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, করলাভ্যালি চা বাগানের গোলমালের নেপথ্যে রাজনীতি নেই। ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই মারপিট চলেছে। এই বার্তা পাওয়ার পরে পুলিশও সক্রিয় হয়। বিবাদরত দুই গোষ্ঠীর নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, গোলমাল চললে পদক্ষেপ করা হবে। দুই গোষ্ঠীর নামেই মামলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এর পরেই করলাভ্যালিতে ‘শান্তি’ ফেরে বলে দাবি।

জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি, অন্য পক্ষের নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিতে এক নেতা জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাকে ফোন করেছিলেন। উল্টে ওই পুলিশকর্তা সেই নেতাকেই গ্রেফতারের আশঙ্কার কথা জানান। তার পরেই ওই নেতা তাঁর অনুগামীদের ‘শান্তির বার্তা’ দেন। বৃহস্পতিবার রাতের গোলমালের পরে শুক্রবার দিনভর থমথমে ছিল চা বাগান। পুলিশও মোতায়েন ছিল। শুক্রবার রাতে কয়েকটি শ্রমিক লাইনে উত্তেজনা তৈরি হলেও, শনিবার সকাল থেকে বাগান জুড়ে ছিল শান্তির আবহ। চা বাগানের অন্যতম নেতা মহেশ রাউতিয়া বলেন, “প্রশাসনের উপরে আমাদের ভরসা রয়েছে।” জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসও বারবার প্রশাসনে আস্থা রাখার বার্তা দিয়েছেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, করলাভ্যালি চা বাগানে দুই গোষ্ঠীর গোলমালে জেলা নেতৃত্বকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের নির্দেশে বাগানে পুলিশ ঢুকেছে আর হামলাও হয়েছে— এমন দাবি করা হতে থাকে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও পক্ষ নেওয়া দূরের কথা, রাজনৈতিক কারণে গোলমালের কথাও মানতে চাননি। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “জেলা সভানেত্রী গোলমালের কথা শুনেই জানিয়ে দেন, এতে দলের কোনও যোগ নেই, পুরোটাই ব্যক্তিগত। কড়া অবস্থান নেয় প্রশাসনও।” জেলা নেতৃত্বের বার্তায় দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলার নেতারাও চা বাগানের গোষ্ঠী থেকে হাত তুলে নেন। তৃণমূলের একাংশের দাবি, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই আবহে জেলায় কোনও দ্বন্দ্বে জড়াতে চাননি নেতৃত্ব।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tea Garden

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy