ধ্বংস-দর্শন: এ ভাবেই লোকজন এখন এসে ভিড় করছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরা দেখতে। রবিবার দোমোহনীতে। নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেসের কামরাগুলি দোমোহনীর মাঠে, নয়নজুলিতে, বিলের ধারে পড়ে রয়েছে। চেপ্টে থাকা কামরায় দেওয়ালের খাঁজে এখনও রক্তের দাগ। কয়েকটি কামরার টিনের সঙ্গে লেগে রয়েছে দেহাংশও। যা দেখে শিউরে উঠছেন এলাকায় কাজ করতে থাকা কর্মীরা। কামরাগুলির ভিতরে জীবনের চিহ্নও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। একটি কামরার ভিতরে পড়ে রয়েছে তিলের নাড়ু। মকর সংক্রান্তির আগের সন্ধেয় কোনও যাত্রী হয়তো কিনেছিলেন, বাড়ির জন্য। দুর্ঘটনার প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নাড়ু ছড়িয়ে রয়েছে মেঝেয়।
এ দিন রবিবারেও দূর থেকে অনেকেই আসেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন দেখতে। লাইন ঠিক হলেও ট্রেনের কামরাগুলি আশপাশেই পড়ে। রেল সূত্রের খবর, সেগুলি আপাতত ওখানেই থাকবে। পরে নিলাম হবে। ভিড় সামলাতে এ দিনও হিমশিম খেতে হয়েছে আরপিএফ ও পুলিশকে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দিয়ে রাজধানী-সহ একাধিক আপ ট্রেন চলেছে। এখনও ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারই রয়েছে। রেলের দাবি, কয়েকদিনের মধ্যে সব স্লিপার সরানো হবে, সেই কাজও শুরু হয়েছে।
রেল লাইনেও পড়ে রয়েছে অজস্র জিনিস। ভাঙা কংক্রিটের স্লিপারের পাশে প্যাকেটে ভরা নতুন জামা। দামের ট্যাগটি পর্যন্ত অক্ষত। একটি প্যাকেটে জরি বসানো ঘাগরা। সোয়েটার, মেয়েদের চাদর পড়ে। ছড়িয়ে আছে অড়হরের ডাল। মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে স্টিলের পাত্র, তার থেকে বেরিয়ে পড়েছে পান-সুপারি। পড়ে মাফলার, বাচ্চার টুপিও। এক রেলকর্মীর কথায়, “হয়তো এগুলির মালিক আর বেঁচে নেই। অথবা বেঁচে থাকলেও আতঙ্কে আর দাঁড়িয়ে থাকেননি। সাধের জিনিসগুলি এখানে ফেলেই চলে গিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy