কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কাউন্টারের সামনে টিকিটের লাইন। বুধবার শিলিগুড়িতে। — বিশ্বরূপ বসাক
নোটের আকালের সময় ইস্টবেঙ্গল-বাঘা যতীনের প্রদর্শনী ম্যাচে কত টাকার টিকিট বিক্রি হবে, তা নিয়ে বেজায় সন্দেহ ছিল উদ্যোক্তাদের। কিন্তু সেই সন্দেহ উবে গিয়েছে। ১০০, ৫০, ২০ টাকার টিকিট বরং নতুন করে ছাপতে দিতে হয়েছে।
আই লিগের আগে আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে লাল হলুদ শিবির খেলতে আসছে। বুধবারও তাই ক্লাবে ছাপাখানার লোক এসে অপেক্ষা করেছে নতুন টিকিটের অর্ডার নিতে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যাচের আগে পর্যন্ত ভাল টিকিট বিক্রি হবে বলেই মনে করছেন কর্মকর্তারা। এ দিন দুপুর পর্যন্ত ৫০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ছ’হাজারের মতো। ১০০ টাকার টিকিট ২৭০০ বিলি করা হয়েছে বিভিন্ন কোচিং ক্লাব, মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, সদস্য এবং ক্লাবগুলিকে। ১০০ টাকার আরও প্রায় হাজারখানেক টিকিট বিক্রি হয়েছে। হাতে তিনশোর মতো রয়েছে। ২০ টাকার টিকিট ইতিমধ্যেই ৩৪০০ বিক্রি হয়েছে। আরও অন্তত দু’হাজার ছাপতে বলা হয়েছে এ দিন। এ ছাড়া, ভিআইপি টিকিট বিলি হচ্ছে দু’শোটি। ক্লাবের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা বাপি চৌধুরী বলেন, ‘‘পঞ্চাশ টাকার টিকিট আরও অন্তত হাজার চারেক ছাপতেই হবে। সেই সঙ্গে ২০ এবং ১০০ টাকার টিকিটও আরও ছাপতে দেওয়া হচ্ছে।’’
ম্যাচের বাজেট ধরা হয়েছিল চার লক্ষ টাকার মতো। চিন্তা ছিল, নোট বাতিলের ধাক্কায় সে টাকা উঠবে কি না। লোকের হাতে নগদ কম। খুচরো আরও কম। কিন্তু সেই হিসেব উল্টে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে আবেগ। বাঘা যতীন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাঠে ১৫ হাজারের বেশি দর্শক থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।’’
কিছু টিকিট পুরনো পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাঘা যতীনের অন্দরেই। তবে শিবনাথবাবুর মন্তব্য, ‘‘পুরনো পাঁচশো টাকার নোটে অনেকে ডোনেশন দিতে চেয়েছিলেন। আমরা নিইনি। ক্লাবের সদস্য, সমর্থকেরা কেউ পুরনো নোটে টিকিট বিক্রি করে থাকলে, আমাদের জানা নেই। আমরা তাদের কাছ থেকে কোনও পুরনো নোট নিইনি।’’ তিনি জানান, মাঠ পরিচর্চার কাজে তিন হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম কমিটিকে। অন্য খরচও নতুন নোটেই করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy