Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বেআইনি ট্রাক স্ট্যান্ডে তোলাবাজির নালিশ

শিলিগুড়ির শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র খালপাড়ায় বেআইনি ট্রাক স্ট্যান্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠল। বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, ছোট ট্রাকের জন্য দিনে ২০০ টাকা এবং বড় ট্রাকের জন্য ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ৫০টি ট্রাক পুলিশ ফাঁড়ির চারদিকে দিনভর পার্কিং করা থাকে। সেখানেই দিনরাত মালপত্র ওঠানামা হয়।

এ ভাবেই রাস্তা দখল করে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাক। — নিজস্ব চিত্র।

এ ভাবেই রাস্তা দখল করে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাক। — নিজস্ব চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৯
Share: Save:

শিলিগুড়ির শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র খালপাড়ায় বেআইনি ট্রাক স্ট্যান্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠল। বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, ছোট ট্রাকের জন্য দিনে ২০০ টাকা এবং বড় ট্রাকের জন্য ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ৫০টি ট্রাক পুলিশ ফাঁড়ির চারদিকে দিনভর পার্কিং করা থাকে। সেখানেই দিনরাত মালপত্র ওঠানামা হয়। এরফলে যানজটে নাকাল হতে হয় বিদ্যাসাগর রোড দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খালপাড়া ফাঁড়ির কিছু অফিসারের মদতেই বেআইনি স্ট্যান্ডটি চলছে। ২/৩ জন যুবক দিনভর এলাকায় ঘুরে বেড়ান। কোথায় কোন ট্রাক দাঁড়াবে সব তারাই ঠিক করে দেয়। তারাই টাকা আদায় করে। প্রতিদিন ১০/১৫ হাজার টাকা তোলাবাজির ব্যবসা চললেও কোনও মহলের হেলদোল নেই। ফাঁড়ির তিনদিকের রাস্তা বহাল তবিয়তে টাকা দিয়ে দখল করে রাখে ট্রাকের চালকরা। বেআইনি স্ট্যান্ড নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা হবে।’’

পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে অবশ্য আশ্বস্ত নন এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, কয়েক বছর আগেও একইভাবে খালপাড়া ফাঁড়িকে ঘিরে বেআইনি ট্রাক স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানানোর পর তা বন্ধ করা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ফের এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। শিলিগুড়ির থানার অধীনে থাকা খালপাড়া ফাঁড়ির অফিসাররা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, কোনও পুলিশ কর্মী এর সঙ্গে জড়িত নন। এলাকার কিছু যুবককে টাকা দিয়ে ট্রাক চালকরাই গাড়ি দাঁড় করায়।

বধর্মান রোড থেকে নয়া বাজারের দিকে যেতে বিদ্যাসাগর রোডের বাঁ পাশে খালপাড়া ফাঁড়ি। পুরানো ভবনের পাশে একটি বড় মাঠ রয়েছে। তার বিভিন্ন অংশ প্লট করে বিক্রির পর মাঝে পুরসভার রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেই রাস্তাগুলিই দখল করে ট্রাক দাঁড় করানো হয় বলে অভিযোগ। চালকদের বক্তব্য, পরিবহণনগর বা ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনালের বদলের এই জায়গায় পার্কিং এর খরচ কম। ওই সমস্ত এলাকায় পার্কিং ফি, খাবারের খরচ, কুলিদের খরচ বেশি পড়ে। তেমনিই, দিনের বেলায় শহরে ঢোকা যায় না। রাত ৮ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে এই এলাকায় ভোরে ঢুকে পড়লে সারাদিনে কাজ শেষ করে রাতে ফের বার হওয়া সম্ভব। তবে দাবিমত টাকা না দিতে চাইলে চাবি কেড়ে নেওয়া, হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু ঘোষ বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেই পুলিশ, পুরসভার কমিশনারকে সব জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। নো-পার্কিং লাগানো সাইনবোর্ড দ্রুত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে তো তোলাবাজি থামবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Extortion Illegal Truck Stand
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE