ধরলার নদীর ভাঙনে বিপন্ন হয়ে পড়েছে মেখলিগঞ্জ মহকুমার কামাত চ্যাংরাবান্ধার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ওই এলাকার একটি চা বাগানের প্রচুর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
নদী যে ভাবে গতি বদল করছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এলাকার বসতবাড়িও বিপন্ন হতে পারে। সব মিলিয়ে শীতের মরসুমেও তাই ধরলার ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান। অর্ঘ্যবাবু বলেন, “রাজ্যের সেচমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে।” মেখলিগঞ্জের বিডিও বীরূপাক্ষ মৈত্র বলেন, “সেচ দফতরের কর্তাদের আমরাও বিশদে জানিয়েছি।”
বাসিন্দারা জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চ্যাংরাবান্ধা এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ধরলার প্রবাহপথ। তার মধ্যে কামাত চ্যাংরাবান্ধায় কয়েক বছর আগেও নদীর গতিপথ ছিল পূর্বমুখী। ওই নদীই ক্রমশ পশ্চিমমুখী হয়ে পড়েছে। ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে চা বাগানের প্রায় ৫ হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। অভিযোগ, ধরলা থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালি তোলার জেরে সমস্যা আরও উদ্বেগজনক হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাসিন্দাদের চিন্তা বেড়েছে। অথচ ওই ব্যাপারেও কোনও হেলদোল নেই। নদী লাগোয়া ওই চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “সব মহলেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাগানের আরও জমি তলিয়ে যেতে পারে।”
বাসিন্দারা জানান, নদী লাগোয়া এলাকার দেবী কলোনিতে চা বাগান শ্রমিকদের অনেকেই বসবাস করেন। বাগানের জমি হারিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তার পাশাপাশি বাড়ি হারানোর উদ্বেগ তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে। কয়েক জন চা বাগান শ্রমিক জানান, যা অবস্থা তাতে অন্তত ৫০০ মিটার এলাকায় স্পার বাঁধ করা দরকার। না হলে বর্ষার মরসুম শুরু হলে ভাঙনের পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, আধিকারিকদের একটি দল কিছুদিন আগে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখেছেন। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নজরে আনা হয়েছে। আর্থিক বরাদ্দ মিললেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা যাবে। মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক পরেশ অধিকারী বলেন, “আমরাও চাইছি দ্রুত আর্থিক বরাদ্দ মঞ্জুর করে ভাঙন ঠেকানোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy