বাঘ ফিরল শহরে! শহরে গুঞ্জন অন্তত এমনটাই। কোচবিহার শহর সংলগ্ন খাগরাবাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তা দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দিনকয়েক ধরেই কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে ওই আতঙ্ক চলছে। মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করছেন অনেকেই। তবে ওই ছাপ চিতাবাঘের কি না তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশায় রয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা কোনও ঝুঁকিও নিতে রাজি নন। তাই বন দফতরের তরফেও চিতাবাঘ ধরার ফাঁদ পাতা হয়েছে।
বন দফতরের কোচবিহার জেলার ডিএফও বিমান বিশ্বাস বলেন, “ওই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন জায়গায় তিনটি খাঁচা পাতা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” ওই পায়ের ছাপ চিতাবাঘেরই কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বন দফতরের। সেটি বনবিড়াল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পাতলাখাওয়ার সুখধনের কুঠি, মরিচবাড়ির ডুডুমারি এবং খাগরাবাড়ি মহিষবাথানের নুরউদ্দিনের মোড়ে চিতাবগাহের খাঁচা বসানো হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, “বছর খানেক আগে তুফানগঞ্জের দিকে এমন গুঞ্জন ছিল। পরে অবশ্য কিছু পাওয়া যায়নি।”
বন দফতরের একাধিক কর্মী-আধিকারিক মনে করছেন, লকডাউনে জঙ্গল থেকে চিতাবাঘ কোচবিহারে পৌঁছনো কঠিন নয়। এক সময় তো কোচবিহারে দিনেরবেলাতেও চিতাবাঘ ঘুরে বেড়ানোর গল্প রয়েছে জেলায়। বর্তমান কোচবিহার জেলা ও লাগোয়া পাতলাখাওয়া, চিলাপাতা, বক্সা জঙ্গল রয়েছে। সেখানে চিতাবাঘ রয়েছে। সাধারণত চিতাবাঘ জঙ্গল থেকে খুব বেশি দূর যায় না। কিন্তু এই সময় সন্ধ্যের পরে বেশিরভাগ এলাকা নির্জন হয়ে যায়। সেই সুযোগে চিতাবাঘ অনেকটা দূর পাড়ি দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy