দিনটা ছিল গত বছরের ১০ নভেম্বর৷ শিয়ালদহ থেকে আসা পদাতিক এক্সপ্রেস জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ঢুকতেই তাকে স্বাগত জানাতে কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে৷ ডান-বাম সব দলের তরফেই সেদিন দাবি করা হয়েছিল, তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের জেরেই নাকি পদাতিক এক্সপ্রেস থামছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে৷
কিন্তু এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বদলে গিয়েছে ছবিটা৷ ৩১ জানুয়ারির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে উঠে গিয়েছে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপ৷ তাই ফের একবার আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে৷ কেউ কেউ ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেও পড়েছেন৷
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে স্থায়ীভাবে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপের দাবিতে শনিবার শহরে সই সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল বিজেপি৷ এ দিন দলের তরফে কদমতলা মোড়, সমাজপাড়া মোড় ছাড়াও জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই সই সংগ্রহ অভিযানে নামা হয়৷ বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা দিল্লিতে রেলমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছিলাম বলেই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু রেলের কিছু আমলার জন্যই সেই স্টপেজ ফের তুলে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি৷ সই সংগ্রহ অভিযান শেষ হলেই আমরা দিল্লিতে গিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দেব৷’’