মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ স্তূপাকৃতি করে রেখে তাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল চাঁচলে। রবিবার সকালের ঘটনা। চাঁচল রাজবাড়ির পিছনে ওই ওষুধগুলি পোড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল।
ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিপজ্জনক। খোলা জায়গায় তা ফেলে দিয়ে যাওয়ায় কোনও ভাবে সেগুলি শিশুদের হাতে পড়লে বিপদের আশঙ্কা ছিল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
পাইকারি হোক ও খুচরো বিক্রেতা, সব দোকানেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকে। নিয়ম মেনেই প্রস্তুতকারী সংস্থা ফেরত নিয়ে তা বদলে দেয়। ফলে সেগুলি ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ ভাবে ওষুধগুলি কেন ফেলে দেওয়া হল তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে বিসিডিএ তথা বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের চাঁচল জোনের সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, ‘‘ওই স্তূপে সব ধরণের ওষুধ রয়েছে।’’ যে পরিমাণে ওষুধ লোকালয়ের কাছেই ফেলে দেওয়া হয়েছে তাতে পরিবেশে দূষণের সম্ভাবনাও রয়ে যায় বলে জানান তিনি। তাঁর আরও দাবি, ‘‘ওই ওষুধ খেয়ে ফেললে গবাদি পশুর মৃত্যুর সম্ভাবনাও রয়েছে।’’
বিসিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পরিমাণে ওষুধ ফেলা হয়েছে তার আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। ওই স্তূপে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, ইনজেকশন, কাশি, ভিটামিন থেকে শুরু করে সব ধরনের ওষুধই। কিন্তু সেগুলি তেমন উন্নত মানের নয় বলেও দাবি বিসিডিএ-র। এ ছাড়া পরিত্যক্ত ওষুধগুলির মধ্যে ২০১৪ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এমন ওষুধও রয়েছে। ফলে যারাই এই কাজ করুক, দু’বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তা কী উদ্দেশ্য রেখে দেওয়া হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছেন কি না তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রণববাবু।