ভিড় টানতে আয়োজকেরা সর্ব স্তরের বাসিন্দাদের মিছিলে যোগ দিতে প্রচার চালাচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকেই কোথাও পতাকা বিলি করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেও তৎপর থাকতে স্বেচ্ছাসেবকদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার আয়োজকেরা।
রবিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে এ দিন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি শহরে দেখা গিয়েছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা রুখতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফেও। দুই শহরেই পুলিশ বাড়তি নজরদারি রাখছে বলে জানিয়েছে। শিলিগুড়ি শহরে ড্রোনে নজরদারির কথাও জানানো হয়েছে।
মিছিলে ধারালো অস্ত্র ও ধাতব কোনও সামগ্রী নেওয়া যাবে না বলে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়িতে রামনবমী মহোৎসব কমিটির তরফে মিছিলে কোনও রকম অস্ত্র আনতে নিষেধ করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনাটেরেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুলিশকর্তারাও রাস্তায় নজরদারি রাখবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলবে।’’ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘রামনবমীর মিছিল ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তা যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে শনিবার থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের রুট মার্চ চলছে।’’
শিলিগুড়ি রামনবমী মহোৎসব সমিতি সূত্রে খবর, তাঁরা পাঁচ লক্ষ লোক মিছিলে সামিল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। শহর এবং লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক ছোট শোভাযাত্রা মূল শোভাযাত্রায় মিশবে। উদ্যোক্তারা জানান, মাল্লাগুড়ির হনুমান মন্দির থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে। হিলকার্ট রোড, সেবক মোড়, পানিট্যাঙ্কি মোড়, বিধান রোড, হাশমি চক হয়ে মিছিল যাবে। হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড ঘুরে স্টেশন ফিডার রোডে হিন্দি হাইস্কুলে তা শেষ হবে। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের বক্তব্য রাখার কথা।
রামনবমীতে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেও একাধিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “রবিবার সকালে মন্দিরে পুজো দেব। এর আগে বাড়িতে রাম ভজন করেছি।” পরে শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে রামনবমীর শোভাযাত্রায় তাঁর থাকার কথা।
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা সূত্রে খবর, শহর জুড়ে একটি মিছিলের অনুমতি রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট মিছিল তাতে গিয়ে মিশবে। মিছিলটি শহরের মিলন সঙ্ঘ মাঠ থেকে শুরু হয়ে বেগুনটারি, দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, কদমতলা হয়ে আবার বেগুনটারি দিয়ে মিলন সঙ্ঘ মাঠে শেষ হবে।
সহ প্রতিবেদক: শুভঙ্কর পাল
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)