পিস্তল নিয়ে বাইরে থেকে আসা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মাটিগাড়া থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সামনে থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ ইসমাইল। তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। তার কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক রিভলবার ও দু’রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে। নির্বাচনের আগে কী উদ্দেশ্যে সে শিলিগুড়িতে ঢুকেছিল তা পরিষ্কার নয়। শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে ধৃতের জামিনের আবেদন খারিজ করেন দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে তল্লাশি চালানোর সময় ওই ব্যক্তিকে সন্দেহ হয়। তল্লাশি চালালে তার কোমরে গোঁজা পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন থানা, চোপড়া ও আশপাশের থানাগুলিতেও। ধৃত ব্যক্তি শাসক দলের মদতপুষ্ট বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধৃত সিপিএমের আশ্রিত বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী রথীন বসুর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ মাত্র একজনকে ধরতে পেরেছে। আরও এমন বহিরাগত ঘুরছে। তাঁর দাবি, ‘‘শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বহিরাগতরা ঢুকেছে গত কয়েকদিনে। একটা পিস্তল ধরা পড়াটা কিছুই নয়। আরও এমন প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। যা ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার করছে শাসকদল।’’ তিনি বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বারবারই নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে হবে বলে। রবিবার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অগ্নিপরীক্ষা। তাঁরা দায়িত্ব পালন করুন এটাই দাবি আমাদের।’’ কংগ্রসের মুখপাত্র অলক মিত্রর আশঙ্কা বহিরাগতরা ঝামেলা পাকাতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল বাইরে থেকে লোক আমদানি করতে পারে তা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। কমিশনকেও জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি সমস্যা মেটাতে হবে পুলিশকেই। ভোটের দিন কিছু হলে তার দায় পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।’’
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ধৃত ব্যক্তি সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতী। ওঁরাই এনেছে। এখন ধরা পড়ে যাওয়ায় আমাদের উপরে দোষ চাপাতে চাইছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে আবার জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy