Advertisement
E-Paper

ডিজে বন্ধে নাকাল পুলিশ

বেশি রাত পর্যন্ত ডিজে বক্স বসিয়ে জলসা বন্ধ করতে গিয়ে নাকাল হল পুলিশ। অভিযোগ, ওসিকে হেনস্থা করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজগঞ্জ থানার ফাটাপুকুরের কাছে কিশোর সঙ্ঘ ক্লাব ও পাঠাগারের জলসায় ওই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২০

বেশি রাত পর্যন্ত ডিজে বক্স বসিয়ে জলসা বন্ধ করতে গিয়ে নাকাল হল পুলিশ। অভিযোগ, ওসিকে হেনস্থা করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজগঞ্জ থানার ফাটাপুকুরের কাছে কিশোর সঙ্ঘ ক্লাব ও পাঠাগারের জলসায় ওই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ।

রবিবার রাতে কালীপুজো উপলক্ষে ফাটাপুকুর মোরে কিশোর সঙ্ঘ ক্লাব ও পাঠাগারের বিচিত্রানুষ্ঠান ছিল। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে প্রচণ্ড জোড়ে মাইকে এবং ডিজে বক্সে গান হতে থাকে। রাত সাড়ে দশটার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে রাজগঞ্জ থানায় ফোন করে আওয়াজ বন্ধের জন্য পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। রাজগঞ্জ থানা থেকে পুলিশকর্মীরা গিয়ে উদ্যোক্তাদের আওয়াজ বন্ধের আবেদন জানান। তাঁদের কথায় কোনও কর্ণপাত না করে জলসা চলতে থাকে। রাত সাড়ে এগারোটার পরে রাজগঞ্জ থানার ওসির কাছে ফোন করে অবিলম্বে তার হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। জলপাইগুড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও রাজগঞ্জের ওসির কাছে অবিলম্বে শব্দ বন্ধ করার নির্দেশ আসে।

রাজগঞ্জের ওসি সনাতন সিংহ ফাটাপুকুরের কিশোর সঙ্ঘ ক্লাবে গিয়ে ক্লাবের সম্পাদক শঙ্কর সেনকে ডেকে জলসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারপরে বারবার অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও গান-বাজনা বন্ধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ওসিকে মঞ্চে উঠতে হয় বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তখন রাত সাড়ে বারোটা।

অভিযোগ, এই সময় স্থানীয় কয়েকজন ওসি-র কাছে কেন তিনি জলসা বন্ধ করলেন, তা জানতে চান। ওসি তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, বেশি রাতে মাইক এবং ডিজে বাজানো বেআইনি। তা ছাড়া এখন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট চলছে। জলসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময় জনা কয়েক যুবক ওসিকে ঘিরেও ফেলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সনাতনবাবু বলেন, “বেশি রাতে জোরে মাইক এবং ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা আসি এবং জলসা বন্ধ করে দেই। আর কিছু আমি বলতে পারব না।” তবে ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ এ দিন কিশোর সঙ্ঘ ক্লাবে গেলে সদস্যরা কেউ এবিষয়ে কথা বলতে চাননি। রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মেহবুব আলম বলেন, “ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। কী ঘটেছে খোঁজ নিচ্ছি।” ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক খগেশ্বর রায় অবশ্য সাফ বলে দিয়েছেন, “রবিবার কিশোর সঙ্ঘ ক্লাবের জলসায় কিছুই ঘটেনি।”

DJ pollution
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy