Advertisement
E-Paper

কার্তুজ-পিস্তল নিয়ে ধৃত, প্রশ্ন

এ দিকে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিরোধী শিবির অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের দিকে। বিরোধীদের দিকে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলও। ফলে ভোট আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে মালদহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৬:৪৭
উদ্ধার: কালিয়াচকে পাওয়া কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার: কালিয়াচকে পাওয়া কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াচক থানার কামাত গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা তাই সীমান্তে বাড়তি টহলদারি শুরু করেছেন।

এ দিকে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিরোধী শিবির অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের দিকে। বিরোধীদের দিকে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলও। ফলে ভোট আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে মালদহ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সেকিম শেখের বাড়ি কালিয়াচক থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চোরি অনন্তপুর পঞ্চায়েতে কামাত গ্রামে। সেকিমের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১৩ রাউন্ড কাতুর্জ। কার্তুজগুলি সবই সেভেন এমএম পিস্তলের। উদ্ধার হয়েছে দু’টি পাইপ গানও। প্রশ্ন উঠছে, কোথা থেকে বিপুল পরিমাণে কার্তুজ মজুত করল সেকিম। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ঝাড়খণ্ড থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যেই কার্তুজ মজুত করা হচ্ছিল। শুক্রবার ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি চক্র জড়িত থাকতে পারে। সেকিমকে জেরা করে ঘটনায় অন্য কারবারিদের হদিশ মিলতে পারে। সেকিমের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগ রয়েছে কিনা তাও দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কালিয়াচকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাস ছয়েক আগেও উদ্ধার হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা। একাধিক বার হদিশ মিলেছে অস্ত্র কারখানার। এরই মধ্যে ভোটের মুখে ফের কার্তুজ-সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী থানা কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহ, হবিবপুর ও বামনোগোলা। ওই থানাগুলিতে রাতে বাড়তি টহল চালানো হবে। নাকা চেকিংও শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) বলেন, “কালিয়াচকে দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল ভোট আগের সর্বত্র অস্ত্র মজুত করছে। পুলিশের উচিত লাগাতার অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা ওই কেন্দ্রের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বিরোধীরা সব কিছুতেই তৃণমূলের দোষ দেখতে পায়। দীর্ঘ দিন ধরে কংগ্রেস, সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে ওই এলাকাগুলিতে। ফলে দুষ্কৃতীদের মদত কারা দিচ্ছে তা মানুষ বুঝতে পারছেন।”

Crime Arrest Arms Dealer Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy