হাতেকলমে: জেলাকর্তারা দেখছেন ভোটযন্ত্র। নিজস্ব চিত্র
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রতিটি অতি স্পর্শকাতর বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সোমবার জেলা পুলিশ সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এ জন্য ইতিমধ্যেই অতি স্পর্শকাতর বুথ ও অতি স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার কাজে গতি আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিহ্নিত করা হচ্ছে স্পর্শকাতর বুথ ও স্পর্শকাতর এলাকাও। জেলার পুলিশ কর্তাদের আশা, লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে আলিপুরদুয়ার জেলায় কত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে তা নির্বাচনের সাত দিন আগেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রথম দফায় নির্বাচন হতে চলেছে উত্তরের দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। রবিবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে তা ঘোষণা করা হয়েছে। আর কমিশনের সেই ঘোষণার পরই আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ মহলে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট ভোটার ১১ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৫১২ জন৷ মহিলা ভোটার রয়েছেন ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩০২ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২০জন।
আলিপুরদুয়ার জেলায় এবার মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮টি। এর মধ্যে মূল ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ১ হাজার ৩২৫টি। এ ছাড়া ৩টি অক্সিলারি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থাকবে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক শুভাঞ্জন দাস জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১৮ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র তোলা বা জমা দেওয়ার কাজ চলবে। তবে এনআই অ্যাক্টে ছুটির জন্য ২১, ২৩ ও ২৪ মার্চ সেই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে৷
আলিপুরদুয়ার জেলায় স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ এবং এলাকা চিহ্নিত করার কাজ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা যৌথভাবে করেছেন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, ‘‘আশা করছি নির্বাচনের দিন সাতেক আগেই জেলায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে তা জানা যাবে। তার দুই-একদিনের মধ্যেই নির্বাচনে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।’’ পুলিশ সুপার জানান, অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তা মোটের উপর বলা যায়। তবে স্পর্শকাতর বুথ, সেক্টর, মোবাইল কিংবা নাকা চেকিং-এর মতো জায়গাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর থেকেই জেলা পুলিশের তরফে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সপ্তাহে সপ্তাহে একটি করে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy