কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সঞ্চিতার পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র
‘‘আমি তোকে খুব ভালবাসি, আমি তোকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না, তুই তোর মা-র জন্য আমাকে ছেড়ে দিলি, তুই ভালো থাকিস।’’
রবিবার রাতে ইংরেজবাজারের আমজামতলা গ্রামে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় সঞ্চিতা হালদার নামে এক কিশোরীর দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধারের পাশাপাশি একটি হাতে লেখা চিরকুট পায়। সেখানেই লেখা ছিল কথাগুলো। পরিবারের দাবি, ওই লেখাটি সঞ্চিতার নিজের। তাদের অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। পুলিশ আপাতত এই চিরকুটের লেখাটি সুইসাইড নোট হিসেবে গণ্য করছে।
এই ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার প্রতিবেশী এক যুবক ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পরেই সপরিবারে পলাতক অভিযুক্তের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছরের সঞ্চিতা মালদহের ইংরেজবাজার শহরের কন্যা শিক্ষালয় বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী এক যুবক ছোট্টু মণ্ডলের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সঞ্চিতার। দু’জনের বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। অভিযোগ, ছোট্টুর মা নীতি মণ্ডল তাঁদের এই সম্পর্ক মানতে পারেননি। প্রতিদিনই সঞ্চিতাকে হুমকি দিতেন তিনি। এই গন্ডগোলের জেরে ছোট্টু সঞ্চিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। রবিবার দুপুরে বাড়িতে সঞ্চিতা একাই ছিল। তখন ছোট্টুর মা এসে সঞ্চিতাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, সেই অভিমানেই আত্মঘাতী হয় সঞ্চিতা। সঞ্চিতার মা শেফালী বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে ছোট্টুর কোনও সম্পর্ক ছিল কিনা জানি না। কিন্তু ছোট্টু ও তার মায়ের চরম শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy