বার্তা: বাজি বর্জনের ডাক দিয়ে শিলিগুড়ির পথে পদযাত্রা। নিজস্ব চিত্র।
এক সপ্তাহে শহর জুড়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কেজি বাজি। এই বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হওয়ায় কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দদানবের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন শহরবাসী। অন্যদিকে, শহরে বেশ কিছু বাজি ব্যবসায়ীর উপরেও পুলিশ নজর রেখেছে বলে খবর।
গত বছর বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় এ বছর অনেকেই ভেবেছিলেন বিধিনিষেধের মধ্যেই বাজি বিক্রি, পোড়ানোর অনুমতি মিলবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে সমস্ত রকম বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বস্তি পেয়েছেন পরিবেশপ্রেমী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। এ দিকে, গত এক সপ্তাহে কমিশনারেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার বাজি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। এর মধ্যে বাগডোগরা, শিলিগুড়ি, প্রধাননগর থানা অভিযানে নেমে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার করেছে।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, শহরে এখনও কিছু জায়গায় বাজি বিক্রি করা হচ্ছে। সেই দোকানগুলির খোঁজ চলছে। তবে লুকিয়ে বিভিন্ন দোকানের আড়ালে বাজি বিক্রি করায় তা ধরতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবসায়ীর তথ্যও জোগাড় করেছে কয়েকটি থানা। সেই ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ বাজি শহরে আমদানি করেছে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে বিভিন্ন থানার পাশাপাশি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও গোয়েন্দা বিভাগও মজুত রাখা বাজি বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy