E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল নিয়ে মেয়র-বিধায়ক চাপান-উতোর

শিলিগুড়ি অ্যাথলেটিকস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এ দিন হিলকার্ট রোডে বিজেপির মিছিল হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০১
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি চলছে। এই সভার কারণে আপাতত স্থগিত শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগ। মাঠে খেলা বন্ধ রেখে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে শহরে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন শহরে বিজেপির জনপ্রতিনিধি, দলের নেতাদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাল্টা বিজেপির ‘হাত-পা ভেঙে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র গৌতম দেব। রবিবার খেলার মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রতিবাদে নেমেছেন বামেরাও।

শিলিগুড়ি অ্যাথলেটিকস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এ দিন হিলকার্ট রোডে বিজেপির মিছিল হয়েছে। বিধায়ক শঙ্করের নেতৃত্বে পোস্টার হাতে ক্রিকেট, ফুটবল-সহ আন্তর্জাতিক মানের পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামের সঙ্গে সিন্থেটিক ট্র্যাকের দাবি জানানো হয়েছে। শঙ্করের দাবি, এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামণিক, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং দার্জিলিং, জলপাইগুড়ির দুই সাংসদকেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাতে চান। শঙ্কর বলেন, ‘‘নানা ভাবে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে অনেক প্রতিভাবান ছেলেমেয়ে থাকলেও খেলার সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে খেলা বন্ধ করে যদি মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়, দলের জনপ্রতিনিধি, নেতৃত্বকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাব।’’ পাল্টা মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘বিজেপির অধিকার রয়েছে বিক্ষোভ দেখানোর। সেই বিক্ষোভকে কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটাও আমার জানা রয়েছে। বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিজেপির ওই হাত-পা ভেঙে দেব।’’ শঙ্কর বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাদের ভাষায় কথা বলেন। চারের বদলে আটের হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র সাহেবও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন কি না জানি না। ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি তাঁর পদে শোভনীয় নয়।’’

বাম ছাত্র সংগঠনের তরফেও এ দিন স্টেডিয়ামের ফোসিন গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এসএফআইযের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অঙ্কিত দে বলেন, ‘‘মাঠ বাঁচানোর দাবিতে এবং মাঠে খেলা ফেরাতে আমাদের আন্দোলন। মাঝপথে ফুটবল লিগ বন্ধ হলে ক্লাবগুলির ক্ষতি এবং খেলোয়াড়দের উৎসাহ হারিয়ে যেতে পারে।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, ১২ ডিসেম্বর কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে সভা হওয়ার কথা। তার আগে মাটি খোঁড়া, খুঁটি পোঁতার কাজ হবে। ক্রীড়া পরিষদের তরফে জানানো হযেছে, আজ, সোমবার থেকে খেলা বন্ধ থাকবে। আপাতত ১৫ ডিসেম্বরের পরে আবার মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে লিগ চালু হতে পারে। তাতেই ক্ষতির মুখে ক্লাবগুলি। লিগ শুরু নিয়েও শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri Goutam Deb

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy