Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের মুখে গুলির পরে এ বার মারধরও

ভোট যত এগিয়ে আসছে, উত্তেজনা বাড়ছে রায়গঞ্জে। সম্প্রতি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এক প্রার্তীর বাড়ির সামনে। এ বার রায়গঞ্জের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী পবিত্র চন্দের অনুগামী দুই কংগ্রেসের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০২:৪৭
Share: Save:

ভোট যত এগিয়ে আসছে, উত্তেজনা বাড়ছে রায়গঞ্জে। সম্প্রতি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এক প্রার্তীর বাড়ির সামনে। এ বার রায়গঞ্জের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী পবিত্র চন্দের অনুগামী দুই কংগ্রেসের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রসেনজিৎ সরকারকেও মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন দুপুর দু’টো থেকে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্রর নেতৃত্বে কংগ্রেসের শতাধিক কর্মী দেবীনগর এলাকার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অন্য দিকে, প্রসেনজিৎবাবুকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সন্ধ্যায় দেবীনগর এলাকায় পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।

রায়গঞ্জ থানার আইসি অভিজিৎ সরকার বলেন, দু’পক্ষের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পবিত্রবাবুর অভিযোগ, এ দিন উত্তম সাহা নামে ওয়ার্ডের এক কংগ্রেস কর্মী দেবীনগর এলাকার একটি ব্যাঙ্কে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন। একই সময়ে জগন্নাথ সরকার নামে ওয়ার্ডেরই আর এক কর্মী ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন।

সেই সময় প্রসেনজিতের নেতৃত্বে চার তৃণমূল কর্মী উত্তম ও জগন্নাথকে বেধরক মারধর করেন। রিভালভারের বাট দিয়ে উত্তমের মাথায় আঘাত করা হয়। উত্তমের মাথা ফেটে গিয়েছে। উত্তম ও জগন্নাথকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পবিত্র বলেন, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাস করে ওয়ার্ড দখলের চেষ্টা করছে। দলের তরফে প্রসেনজিৎ সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জেলাশাসককে অভিযোগ জানানো হচ্ছে।’’ জেলা তৃণমূলের সহকারী সভাপতি মানসকুমার ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘এ দিন উত্তম নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে বার্ধক্যভাতা তোলার কাজে সহযোগিতার নামে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। প্রসেনজিতের নেতৃত্বে দল প্রতিবাদ করেন। তখনই উত্তম ও জগন্নাথের নেতৃত্বে কংগ্রেসের একদল কর্মী প্রসেনজিতকে বেধড়ক মারধর করে। প্রসেনজিতের হাতে আঘাত লাগে।’’ মানসবাবু বলেন, ‘‘দলের তরফে উত্তম ও জগন্নাথের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Political Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE