E-Paper

ত্রাণের ত্রিপল বিকোচ্ছে হাটে, বিতর্ক

স্থানীয়দের দাবি, মানিকচকের ভুতনির চম্পানগর গ্রামে সাপ্তাহিক হাটে সাইকেলে ত্রিপল বিক্রি করছিলেন উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা রেফাল শেখ।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৬
হাটে সরকারি ত্রিপল বিক্রির এমনই ছবি ভাইরাল।

হাটে সরকারি ত্রিপল বিক্রির এমনই ছবি ভাইরাল। নিজস্ব চিত্র।

মাটিতে ছড়িয়ে একের পরে এক ত্রিপল। সে ত্রিপলে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলের ‘স্টিকার’ আঁকা। গ্রামীণ হাটে দরদাম হেঁকে সেগুলি বিক্রি করছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের এক আত্মীয়। রবিবার ত্রাণের ‘সরকারি’ ত্রিপল বিক্রির এমনই ভিডিয়ো (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) সমাজ মাধ্যমে ছড়ানোয় হইচই পড়েছে মালদহে। প্রশাসন সূত্রে দাবি, ভিডিয়োটি (আনন্দবাজার যাচাই করেনি সত্যতা) মানিকচকের ভুতনি হাটের।

সোমবার কমিটি গঠন করে সরকারি ত্রিপল বিক্রির অভিযোগের ব্লক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, “ভিডিয়োর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ত্রাণের ত্রিপল কী ভাবে, ওই ব্যক্তি পেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশেও অভিযোগ জানানো হবে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

স্থানীয়দের দাবি, মানিকচকের ভুতনির চম্পানগর গ্রামে সাপ্তাহিক হাটে সাইকেলে ত্রিপল বিক্রি করছিলেন উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা রেফাল শেখ। তিনি উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের নাসির শেখের আত্মীয়। অভিযোগ, রেফালের কাছে থাকা ত্রিপলগুলিতে সরকারি ত্রাণ দফতরের স্টিকার আঁকা রয়েছে। সে ত্রিপল ৮০০ টাকা দামে হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনই ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজ মাধ্যমে ছড়ায়। ত্রাণের সরকারি ত্রিপল কী ভাবে উপপ্রধানের আত্মীয় পেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গ্রামবাসী শাহাজান শেখ বলেন, “বন্যা, বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ ত্রিপল পান না। অথচ, উপপ্রধানের আত্মীয় সরকারি ত্রিপল হাটে বিক্রি করছেন।”

যদিও রেফাল শেখ বলেন, “ত্রিপল কিনে হাটে-হাটে বিক্রি করি। ত্রাণ দফতরের ত্রিপল নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।” উপপ্রধান নাসির শেখ বলেন, “ভিডিয়োটি আমিও দেখেছি। পঞ্চায়েত থেকে কাউকে কোনও ত্রিপল দেওয়া হয়নি। রেফাল কোথায় থেকে সে সব পেলেন, তা আমি জানি না।” ঘটনাটি নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বিজেপির গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতারা সাধারণ মানুষের ত্রিপল চুরি করেন। এ বার হাটে চুরির ত্রিপল বিক্রি হচ্ছে।” রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য, “ঘটনাটি প্রশাসন দেখছে। বিজেপির সঙ্গে মানুষ নেই। বিজেপি সব কিছুতেই রাজনীতি দেখছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Manickchak

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy