ভোটের পর এ বারই প্রথম উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব কিছু ঠিক থাকলে ৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে তাঁর শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা। প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, বিশেষ বিমানে কলকাতা থেকে তিনি বাগডোগরায় নামবেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কয়েকজনের আসার কথা রয়েছে। এই সফরের পুরোটা উত্তরকন্যাতেই থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা নিয়ে আলাদা দিনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
তবে করোনা পরিস্থিতি এবং দুয়ারে সরকার চলায় বিডিওদের ডাকা হচ্ছে না। এমনকি, বৈঠকে অন্য দফতর তথা ‘লাইন ডিপার্টমেন্টে’র আধিকারিকদেরও উত্তরকন্যায় থাকতে বলা হচ্ছে না। তাঁরা প্রশাসনিক দফতর থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে থাকবেন। কেবল জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরাই উত্তরকন্যায় উপস্থিত থাকবেন। জিটিএ প্রশাসনের আধিকারিকদেরও আসার কথা শোনা যাচ্ছে।
ভোটের পর তাঁর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন তাদের একাধিক বিধায়ক। দু’দিন আগে উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে শিলিগুড়িতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করে সেই বার্তা দিতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি তা নিয়েও বার্তা দেন কি না, তাকিয়ে শাসক শিবির। প্রশাসনিক বৈঠকে বরাবরই জেলার বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে আগেও তৎপর হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
দুয়ারে সরকারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শাসক শিবির। ফলে শিলিগুড়ির মতো বাকি পুরসভাও দখলের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। এ সব কারণে এই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বার্তা দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তাঁর সফর ঘিরে উত্তরকন্যায় এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। ৬ সেপ্টেম্বর আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক বৈঠক রাখা হয়েছে। পরদিন জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। ৮ সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলা নিয়ে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। এর পরেও কর্মসূচি কিছু বদল হলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হলে সেই মতো ব্যবস্থা নেবেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।