খুচরো তো বটেই, পাইকারি হারে বস্তায় বস্তায় আবির বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, বুধবার থেকে সবুজ আবিরের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার কুইন্টালের পর কুইন্টাল আবির বিক্রি হয়। বিক্রি ভেষজ সবুজ আবিরও। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের আবির ব্যবসায়ী মদন মোহন বণিক বলেন, “লাল ও সবুজ দুই আবির মজুত করেছি।” তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি আবিরের তিরিশ কেজির ৭০টি বস্তা বিক্রি করেছেন। সেই সঙ্গে ভেষজ আবির পাঁচ কেজির তিরিশ বস্তা বিক্রি করেছেন। পাঁচ কেজি, দশ কেজি করে খুচরো বিক্রি হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের আরেক আবির ব্যবসায়ী সুকুমার রায় বলেন, “ভোট পরবর্তী সমীক্ষার পরে আবির বিক্রি শুরু হয়।” শুধু আবির নয়, আতস বাজির চাহিদাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঠিক কী হতে চলেছে তা নিয়ে দোলাচলে ছিল শাসক দল তৃণমূল এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার ভোট পরবর্তী সমীক্ষা হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের নেতা-কর্মীরা ময়দানে নেমে পড়ে। দলীয় সূত্রের খবর, এর পরেই আবির, আতসবাজি কেনার পালা শুরু হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২২ মে পর্যন্ত কোনও মিছিল, সমাবেশ করা যাবে না। এই অবস্থাতেও থেমে থাকেনি শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের যুক্তি, বিজয় মিছিল হবে না। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আবির খেলতে অসুবিধে কোথায়। মাথাভাঙা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা শীতলখুচির তৃণমূল প্রার্থী হিতেন বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আলিজার রহমান জানান, তিনি ইতিমধ্যে পাঁচ বস্তা সবুজ আবির কিনে রেখেছেন। তিনি বলেন, “যা করা হবে দলের কথা মেনেই করা হবে।” দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বুর আলম হোসেন জানান, তিনি তিন বস্তা সবুজ আবির কিনেছেন। জোটের দাবি, সারা রাজ্যের সঙ্গে কোচবিহারেও তাঁদের ফল ভাল হবে। মানুষ যে ভাবে নীরবে ভোট দিয়েছেন তা কোনও সমীক্ষায় ধরা দেবে না। জোটের নেতা তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দা সাহা বলেন, “সমীক্ষার ফল শেষ কথা নয়। অনেকে তা দেখে নানা মন্তব্য করছেন। আমরা মানুষের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছি। যেভাবে মানুষ এবারে ভোট দিয়েছেন তাতে ফল ভাল হবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy