Advertisement
E-Paper

অবাধে ঢোকা যায় উত্তরকন্যায়, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্য মন্ত্রীদের দফতর বা সভাকক্ষ, ইচ্ছে থাকলে উত্তরকন্যার যে কোনও প্রান্তে অবাধেই ঢুকে যেতে পারে যে কেউ। প্রতিদিনই বহু মানুষ নানা কাজে উত্তরকন্যাতে আসেন। অনেকের সঙ্গে থাকে ব্যাগপত্র। তবে সেই ব্যাগে কী থাকছে তা দেখা হচ্ছে না। স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর, মেটাল ডোরফ্রেম থাকলেও সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে মিনি সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্নচিহ্ন।

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০০
অব্যবহৃত: উত্তরকন্যায় পড়ে আছে স্ক্যানার মেশিন। নিজস্ব চিত্র

অব্যবহৃত: উত্তরকন্যায় পড়ে আছে স্ক্যানার মেশিন। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্য মন্ত্রীদের দফতর বা সভাকক্ষ, ইচ্ছে থাকলে উত্তরকন্যার যে কোনও প্রান্তে অবাধেই ঢুকে যেতে পারে যে কেউ। প্রতিদিনই বহু মানুষ নানা কাজে উত্তরকন্যাতে আসেন। অনেকের সঙ্গে থাকে ব্যাগপত্র। তবে সেই ব্যাগে কী থাকছে তা দেখা হচ্ছে না। স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর, মেটাল ডোরফ্রেম থাকলেও সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে মিনি সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্নচিহ্ন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরকন্যার সর্বত্র ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগান আছে। সেগুলোর মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালান হয়। তবে মেটাল ডিটেক্টর, স্ক্যানার ব্যবহার করা উচিত। নিরাপত্তার সঙ্গে কোন সমঝোতা করা হবে না। আমরা বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

উত্তরকন্যায় ঢোকার জন্য মোট চারটি গেট আছে। এর মধ্যে জাতীয় সড়কের ধারে একটি এবং ডাবগ্রাম শিল্প তালুকে ঢোকার রাস্তার ধারে তিনটি গেট রয়েছে। কেবল মুখ্যমন্ত্রী এলেই গেটগুলিতে বসানো হয় মেটাল ডোরফ্রেম, মেটাল ডিটেক্টর হাতে সক্রিয় থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্য সময়গুলিতে কোনও গেটেই নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা থাকে না বলেই অভিযোগ। ওই গেটগুলি পার করে ঢুকতে হয় মূল প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে ঢোকার জন্য রয়েছে চারটি গেট। প্রতিদিনের প্রয়োজনে আসা মানুষদের ঢোকার জন্য উত্তরকন্যার পেছনের দিকের একটি গেট ব্যবহার করা হয়। কোনও প্রশাসনিক সভা বা অন্য বৈঠক হলে ব্যবহার করা হয় সামনের দিকের দু’টি গেট।

মূল ভবনে ঢোকার প্রধান দুটি গেটের পাশেই রাখা আছে স্ক্যানার মেশিন ও মেটাল ডোরফ্রেম। তবে সেগুলি দীর্ঘ দিন থেকে অব্যবহৃত অবস্থাতেই পরে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কেন সেগুলি ফেলে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি আধিকারিকদের কাছে থেকে। যন্ত্রগুলিতে কোন সমস্যা রয়েছে কি না তাও বলতে পারেননি কেউ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব বরুণ রায় বলেন, ‘‘ব্যাপারটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

উত্তরকন্যায় একটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন মূল প্রশাসনিক ভবনে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার কোন কর্তা নিরাপত্তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘উত্তরকন্যার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সচেতন আছি। কোনও সমস্যা থাকলে সেটা দেখা হবে।’’ কিন্তু সাধারণ মানুষ অনেকে বলছেন, উত্তরকন্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতর। সেখানে কিছু হলে তার প্রভাব ছড়াবে অনেক দূর।

Uttar Kanya Security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy