Advertisement
E-Paper

তৃণমূল-হরকা জোট হবে কি, প্রশ্ন দুই দলেই

কলেজ ভোটের সময়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছিল হরকা বাহাদুরের দল। পাহাড়ে পুরভোটের মুখে দেখা গেল, সেই দূরত্ব বহাল রয়েছে।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৪
মুখোমুখি: মন ঘিসিঙ্গের সঙ্গে অরূপ বিশ্বাস। রয়েছেন গৌতম, রবীন্দ্রনাথও। নিজস্ব চিত্র

মুখোমুখি: মন ঘিসিঙ্গের সঙ্গে অরূপ বিশ্বাস। রয়েছেন গৌতম, রবীন্দ্রনাথও। নিজস্ব চিত্র

কলেজ ভোটের সময়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছিল হরকা বাহাদুরের দল। পাহাড়ে পুরভোটের মুখে দেখা গেল, সেই দূরত্ব বহাল রয়েছে। অন্য দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা এগোলেও হরকার জন আন্দোলন পার্টির সঙ্গে আলোচনা এখনও দূর অস্ত্।

তৃণমূলের পাহাড়ের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস যদিও দাবি করেছেন, মোর্চার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে সব দলকেই একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু হরকার তরফে বিশেষ সাড়া মেলেনি। সেই দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা অমর লামা বলেন, ‘‘প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার মুখে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে।’’

গত বিধানসভা ভোটের আগে মোর্চা ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজের দল গঠন করেন হরকা। তার পরে সেই দলের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়। হরকা জোট প্রার্থী হিসেবেই কালিম্পঙে দাঁড়িয়েছিলেন। জিততে না পারলেও মোর্চা প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ১১ হাজারে নামিয়ে এনেছিলেন তিনি।

হরকার সঙ্গে তৃণমূলের সখ্য বজায় ছিল কালিম্পং নতুন জেলা ঘোষণা অবধিও। অনুষ্ঠানে ছিলেন হরকা। কিন্তু তার পরেই কলেজ ভোটে প্রথম পাহাড়ে শক্তি দেখাতে সক্ষম হয় তৃণমূল। জন আন্দোলন পার্টি অভিযোগ করে, তাদের জয়ী প্রার্থীদের নানা ভাবে ভাঙিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। এর পরে বিভিন্ন কারণে সরব হন হরকাও।

পাহাড়ে আসন্ন পুরভোটে জিএনএলএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা করছে তৃণমূল। এ দিন সে কথা ঘোষণা করে পাহাড়ে পরিবর্তনের ডাক দেন দলীয় নেতৃত্ব। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘চারটি পুরসভায় জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে তা মজবুত করতে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’

কার্শিয়াঙে জিএনএলএফ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কালিম্পঙে শক্তি বাড়াতে গেলে হরকাকে দরকার, বলছেন অনেকেই। অরূপ অবশ্য সেই বার্তাও দিয়ে রাখলেন এ দিন, ‘‘মোর্চা-বিরোধী সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তা হলে মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন শুরু করেছেন পাহাড়ে তার গতি বাড়বে।’’ জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিঙ্গ বলেন, ‘‘পাহাড়ের পরিবর্তনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছি। এটা খুব বড় বিষয়, রাজ্যের তিন মন্ত্রী-নেতা পাহাড়়ে এসে জোট করছেন। অন্যদের মত দিল্লি বা কলকাতায় বসে জোট হচ্ছে না।’’

পাহাড়ে এই জোট রাজনীতি নিয়ে মোর্চা কতটা চিন্তিত? তাদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘জোটে চিন্তা নেই। পাহাড়বাসী যে আমাদের দিকে আছেন, ভোট হলেই বোঝা যাবে।’’

Harka bahadur Chettri TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy