ফাইল চিত্র।
সাইনরোর্ডে লেখা ‘বাজির দোকান’। একটা নয়, পর পর অনেকগুলি। বাজি পোড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই সে সব দোকানের শাটার তালাবন্ধ। কিন্তু তাতে কী? অভিযোগ, আড়ালে বাজি বিক্রি চলছেই। এমনই ছবি মালদহের নেতাজি কমার্সিয়াল মার্কেটে।
মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। জেলার ব্লক সদরের অনেকে বাজারেও গোপনে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বাজারে বাজারে পুলিশের নজরদারি নেই। এতে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা।
মালদহের রথবাড়ি বাজার সংলগ্ন নেতাজি কমার্সিয়াল মার্কেট ও নেতাজি পুরবাজার চত্বরে বেশকিছু বাজির দোকান রয়েছে। তা ছাড়া কয়েকটি দোকানেও বাজি বিক্রি হয় সারা বছরই। বাজি পোড়ানো বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পর শুধু বাজির দোকানগুলি বন্ধ রয়েছে। স্টেশনারি দোকানগুলি থেকে বাজি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ওই দুই বাজারে গোপনে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেল নেতাজি পুর বাজার কমিটির কার্যালয়ে ঢোকার পথে একটি বাজির দোকান বন্ধ। কিন্তু দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ২-৩ জন। একাধিক লোক সেখানে এসে তাঁদের কানে কানে কথা বলছেন। দাঁড়িয়ে পড়ছেন পাশের গলিতে। তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের হাতে দেখা যাচ্ছে কালো রংয়ের ব্যাগ। আশপাশের কয়েক জন দোকানি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে বাজির দোকান বন্ধের পর থেকে এ ভাবেই বাজি বিক্রি চলছে। পুলিশ দু'দিন আগে এসে টহল দিয়েছিল। কিন্তু তার পরে আর পুলিশের দেখা মিলছে না। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘পুলিশ বসে নেই। নজরদারি চলছে। তা আরও বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy