গত একদশক ধরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন স্কুলের পড়ুয়ারা। কিন্তু এ বারই ব্যতিক্রম। উত্তর দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত কৃতি পড়ুয়ার থেকেও স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত পড়ুয়া ১৭ নম্বর কম পাওয়ায় হতাশ রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।
কেনও এ বছর স্কুলের পড়ুয়ারা মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেন তা খতিয়ে দেখার কাজও শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের দাবি, স্কুলের কোনও পড়ুয়া মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে না পারলেও স্কুলের সার্বিক ফল ভাল হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়ুয়ারা যাতে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারেন, তার জন্য স্কুলের শিক্ষকদের পড়ানোর কোনও ক্রুটি বা পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা রয়েছে কী না তা বিজ্ঞানসম্মতভাবে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এ বছর বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্রী মৌসুমী দেব স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৩। সর্বোচ্চ নম্বরের নিরিখে করোনেশন স্কুলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুল সহ জেলার একাধিক হাইস্কুল। পাশাপাশি, সার্বিক ফলের নিরিখেও করোনেশনকে টেক্কা দিয়েছে বিদ্যাচক্র ও রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুল। বিদ্যাচক্র স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া মহম্মদ শাহেনশাহ করোনেশনের সর্বোচ্চ নম্বরের চাইতে ১৭ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় প্রথম স্থান দখল করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০। পিছিয়ে নেই করোনেশন লাগোয়া গার্লস হাইস্কুলও।
ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রীমা নন্দীও করোনেশনের সর্বোচ্চ নম্বরের চাইতে এক নম্বর বেশি পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৪। তবে জেলার বেশিরভাগ হাইস্কুল করোনেশন, বিদ্যাচক্র ও গার্লস হাইস্কুলের মতো সার্বিক ফলে নজর কাড়তে না পারলেও রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারাণি বিদ্যাপীঠের সায়ক কর্মকার ৪৭২, কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর ও পার্বতীসুন্দরী হাইস্কুলের দুই কৃতি পড়ুয়া চয়ন মন্ডল ও স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ৪৭০ নম্বর পেয়ে করোনেশনের সর্বোচ্চ নম্বরকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গত প্রায় একদশক ধরে স্কুলের পড়ুয়ারা মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেও এবছর কেউ মেধাতালিকায় স্থান না পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই অত্যন্ত হতাশাজনক। তবে পড়ুয়ারা মেধাতালিকায় জায়গা না পেলেও স্কুলের সার্বিক ফল ভাল হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলের কৃতি পড়ুয়ারা মেধাতালিকার কৃতিদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে এতটা পিছিয়ে পড়বে তা কোনওমতেই মানতে পারছি না। যাইহোক, পড়ুয়াদের পরীক্ষার খাতা পূনর্মূল্যায়ণ করতে বলেছি। কেনও এ রকম হতাশাজনক ফল হল, তা উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy