এখন থেকে রঞ্জন সরকার-ই শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ করবেন। মেয়রকে এই কথা জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলররা।
সোমবার পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন নান্টু পাল। মঙ্গলবার তিনিই দসের বাকি কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে রঞ্জনবাবু এখন থেকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ করবেন। নিয়ম মেনে তা জানানো হল। আমি যতদিন ছিলাম সেই ভূমিকা পালন করেছি।’’
সম্প্রতি, নান্টুবাবুর মন্তব্য নিয়ে বিব্রত হন তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি পাঁচ দিন শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। মেয়রের দাবি, জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের কাজে সমস্যার জন্যই এমন ঘটেছে। বাস্তুকারদের তরফে কাউন্সিলরদের সামনে তা তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র। তা নিয়েই নান্টুবাবু মেয়রের সঙ্গে দফতরের আধিকারিকদের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। যা শাসক দলের ব্যর্থতাকেই প্রকাশ করে বলে তৃণমূলের একাংশের মত। তা ছাড়া কিছু মানুষ এখনও মেয়রের সঙ্গে রয়েছে। সে কারণে তারা এখনই অনাস্থা আনতে পারছেন না-বলেও মন্তব্য করেছিলেন নান্টুবাবু।
পর্যটনমন্ত্রী তথা দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব যখন পুজোর পরে এই পুরবোর্ডের বিসর্জনের কথা ঘোষণা করেছেন তখন নান্টুবাবুর ওই মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। দলের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পর গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নান্টুবাবুকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করা হয়।
এ দিন রঞ্জনবাবুকে বিরোধী দলনেতা করার যে প্রস্তাব মেয়রের কাছে পেশ করা হয়েছে তাতে অবশ্য সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের সই ছিল না। তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুর্গা সিংহও রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্সিলর পদ খারিজের মামলা করেছেন অশোকবাবুরা।
দল সূত্রেই খবর, দুর্গাদেবীকে তৃণমূলে এখনও সদস্য পদ দেওয়া হয়নি। সই করলে আইনি জটিলতায় তাঁর কাউন্সিলর পদ নিয়ে সমস্যা হতে পারে। অপর দুই মহিলা কাউন্সিলর তথা নান্টুবাবুর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পাল এবং পর্যটন মন্ত্রীর স্ত্রী শুক্লা দেবও সই করেননি। শুক্লাদেবী শহরের বাইরে রয়েছেন। মঞ্জুশ্রীদেবী পুরসভায় যাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy