Advertisement
E-Paper

তিন বছর পর সাজা ধর্ষণের

প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলা চলার পর প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (ফাস্ট ট্র্যাক) বিচারক তাপসকুমার রায় ওই রায় দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০৩:০৩
দোষী: আদালতের পথে হরধর সিংহ।—নিজস্ব চিত্র

দোষী: আদালতের পথে হরধর সিংহ।—নিজস্ব চিত্র

প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলা চলার পর প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (ফাস্ট ট্র্যাক) বিচারক তাপসকুমার রায় ওই রায় দিয়েছেন। আজ, শনিবার সাজা ঘোষণা করা হবে বলে বিচারক এজলাসে জানিয়ে দিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির নাম হরধর সিংহ। প্রায় ৪৮ বছর বয়সী হরধরের বাড়ি শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়ার পাথরঘাটার ঝিঙাবস্তিতে। পেশায় পাইপমিস্ত্রি হরধরের বাড়ির পাশেই নাবালিকার বাড়ি। বছর খানেক টানা ধর্ষণের জেরে নাবালিকা গভর্বতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই মেয়েটির পরিবারের তরফে ২০১৩ সালে ২০ ডিসেম্বর মাটিগাড়ায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

হরধরের ৭২ বছরের বৃদ্ধা মা যশোরা সিংহ এখনও মাটিগাড়ার একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন। সকালের পর থেকেই তিনি আদালতের কোণে এসে বসেছিলেন। চোখ মুছতে মুছতে বৃদ্ধা বলেন, ‘‘ছেলেটা এমন কী করল কে জানে। সংসার চালাতে হচ্ছে। মাথায় যে কী কুবুদ্ধি চাপল। সাড়ে তিন বছর ধরে জেলেই আছে। বাকি জীবন মনে হয়, জেলেই থাকবে।’’

আদালত সূত্রের খবর, তার পরপরই গ্রেফতার হয় হরধর। কখনও লোকলজ্জার ভয় দেখিয়ে, কখনও মারার হুমকি দিয়ে হরধর ধর্ষণ করেছে বলে কিশোরী জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছিল। একেবারে পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে কিশোরীর বাড়ি ফাঁকা দেখলেই হরধর সেখানে ঢুকে পড়ত। পুলিশ তদন্তে জানিয়ে দেয়, দু’জনের বাড়ির মধ্যে একটি গেট এবং টিনের জানলা রয়েছে। সেখানে দিয়েও হরধর যেত। কিশোরীও বয়ানে তা জানিয়েছে। দু’টি বড় ছেলেও রয়েছে হরধরের। কিশোরী তা জানিয়ে প্রশ্ন তোলায় কোনও লাভ হয়নি।

সরকারি আইনজীবী অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ও অর্ণব গুপ্তভায়া জানান, কিশোরী হরধরের জন্যই গর্ভবতী হয়েছে তা প্রমাণ হয়েছে। তাঁরা হরধরের কড়া শাস্তি আদালতের কাছে চেয়েছেন। দুপুর তিনটে নাগাদ মামলার চূড়ান্ত শুনানিকে ঘিরে আদালতে ভিড়ও ছিল।

বিচারক দোষী সাব্যস্ত করার আগে হরধর কিছু বলতে চান কি না তা জানতে চান। মাথা নিচু করে ধীর গলায় বলে, ‘‘আমি কিছু আর বলব না।’’ তার আইনজীবী মলয় ঘোষ সাজা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন।

Rape Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy