বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেল স্কুলবাস। জলপাইগুড়িতে স্কুলবাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে জখম হল সাত পড়ুয়া৷ শনিবার বিকেলের ঘটনা।
মোহিতনগরের গোলঘুমটির কাছে এই দুর্ঘটনায় জখম দুই ছাত্রীকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷
কয়েক মাস আগে চাকুলিয়ায় জাতীয় সড়কে লেন ভাঙা বেপরোয়া লরি স্কুলের পুলকারে ধাক্কা মারায় মারা গিয়েছিল একাধিক খুদে পড়ুয়া। এই ঘটনার পর তাই ফের স্কুলপড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, এ দিন স্কুলটির কয়েকটি শ্রেণীতে পরীক্ষা ছিল৷ পরীক্ষার পর বাসটি পড়ুয়াদের নিয়ে বেলাকোবার দিকে রওনা হয়৷ পরীক্ষা থাকায় কয়েকজন অভিভাবকও বাসে ছিলেন৷ গোল গুমটির কাছে আচমকাই উল্টো দিক থেকে আসা লরিটি বাসটিকে ধাক্কা মারে৷ মুহূর্তের মধ্যে বাসে থাকা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে জখমদের উদ্ধার করে জলরপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী অস্মিতা পাল ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী দিশা দাসকে ভর্তি করা হয়৷ বাকিদের প্রথমিক চিকিৎসা করা হয় ৷
ওই বাসেই জখম দিশার সঙ্গে ছিলেন তার মা অরুণা দাস৷ তাঁর কথায়, ‘‘বাসটি ভালই যাচ্ছিল৷ আমিও মেয়ের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে কথা বলছিলাম৷ হঠাৎ করেই গোল ঘুমটি এলাকায় বাসে খুব জোরে ঝাকুনি ও শব্দ হয়৷ তখনই বুঝতে পারি দুর্ঘটনা ঘটেছে৷’’ জখম অপর ছাত্রী অস্মিতা পালের বাবা বাদল পাল বলেন, ‘‘হাসপাতালে এসে জানতে পারলাম, লরিটিকে বেপরোয়া ভাবে আসতে দেখে বাস চালক বাসটিকে রাস্তা পাশে মাটিতেও নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ তবুও দূর্ঘটনা এড়ানো যায়নি৷’’
ঘটনার জেরে বাসটির বেশ কিছু জানালার কাঁচ ঙেঙে গিয়েছে৷ ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও হাসপাতালে ছুটে যান৷ তারা জানিয়েছেন, দুই ছাত্রী ছাড়া বাকিরা সবাই ভাল রয়েছে৷
সম্প্রতি স্কুলবাস নিয়ে পড়শি শহর শিলিগুড়িতেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরাও। এ দিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই লরির চালক গ্রেফতার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy