Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতিতে আশা

রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে কোচবিহারে রাজবংশী ভাষার বাসিন্দাদের মধ্যে কোচবিহারে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে কোচবিহারে রাজবংশী ভাষার বাসিন্দাদের মধ্যে কোচবিহারে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই উদ্যোগে জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন থমকে দাঁড়াবে। অনেকে আবার মনে করছেন, শুধু ভাষার স্বীকৃতি নয়, ওই ভাষায় কর্মসংস্থানের জন্যও উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ওই ভাষার স্বীকৃতির বিষয়টি যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম তফশিলে জায়গা পায় সে জন্য সংসদে তিনি আওয়াজ তুলবেন। তিনি বলেন, “রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতির দাবি দীর্ঘদিনের। ভাষাবিদেরাও নানা সময় ওই ভাষার কথা বলেছেন। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জেলার মানুষ সকলেই খুশি। কেন্দ্রীয় সরকারও যাতে স্বীকৃতি স্বরূপ ওই ভাষার জায়গা অষ্টম তফশিলে দেয় সে ব্যাপারে সংসদে দাবি জানাব।”

রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন ওই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএমএস করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতিতে খুশি। এতে শুধু রাজবংশীরা নয়, সবাই ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে এই অঞ্চলের যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন তা আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না।” ফালাকাটা কলেজের শিক্ষক তথা কোচবিহারের বাসিন্দা রঞ্জন রায়ও মুখ্যমন্ত্রীর ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, রাজবংশী ভাষায় কর্মসংস্থানের কথাও ভাবতে হবে। তিনি বলেন, “ভাষার স্বীকৃতির উদ্যোগ খুবই ভাল। পাশাপাশি এখন যা অবস্থা তাতে বাংলা ভাষাতেও কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলছে না। ইংরেজি জানতেই হচ্ছে। সেখানে রাজবংশী ভাষায় যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যায় তাও দেখা উচিত।”

দলীয় সূত্রের খবর, রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কোচবিহারে আন্দোলন হচ্ছে। আলাদা রাজ্যের দাবিতেও কয়েকটি সংগঠন সরব হয়েছে বার বার। কয়েক বছর আগে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি তৈরি করে সেই আন্দোলনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। তার পরে এ বারে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই থেমে না থেকে ওই ভাষার লিপি তৈরিতে একটি কমিটি তৈরির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তার পরেই কোচবিহারে রাজবংশী ভাষার বাসিন্দাদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rajbangshi language WB
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE