কর্মী নিয়োগ শুরু হল দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপাতত চুক্তির ভিত্তিতে শ্রমদিবস হিসাবে দু’জনকে নিয়োগ করা হবে দফতরের কাজে। ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সে ব্যাপারে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তা দেখে আবেদনপত্রও জমা পড়তে শুরু করেছে। এই প্রথম কোনও কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়া, অভিভাবকদের একাংশ।
২০ জানুয়ারি স্থায়ী উপাচার্য তেজিমালা গুরুং নাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলিতে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সুজাতারানি রাই বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য যোগ দিয়েই দফতরের কাজকর্ম চালাতে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ধীরে ধীরে অন্যান্য পরিকাঠামোও এ বার গড়ে উঠবে।’’
২০২০-২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরে শুরুতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সামলাতেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক, রেজিস্ট্রারও একই ভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সামলাতেন। অস্থায়ী উপাচার্য দিয়েই সব চলছিল। কখনও উপাচার্যহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে হয় দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রশাসনিক ভবন থেকে কিছুই কার্যত নেই। মংপু আইটিআই কলেজে অস্থায়ী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে সেখানে পড়ুয়া শিক্ষক, আধিকারিকদের থাকার পরিকাঠামো না থাকায় পড়ুয়া, শিক্ষকেরা কেউই থাকতেন না। স্থায়ী শিক্ষকও কেউ নেই। অন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ অতিরিক্ত সময়ের জন্য এখানে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে গত বছর ভর্তির প্রক্রিয়া হয়নি। পড়ুয়ারাও ভর্তি হতে উৎসাহ হারান।
পরে উচ্চ শিক্ষা দফতর সুজাতারানি রাইকে অস্থায়ী উপাচার্য এবং অস্থায়ী ভাবে এক জনকে ফিনান্স অফিসার করে পাঠায়। সুজাতিরানির চেষ্টায় এলাকায় মেস করে পড়ুয়াদের রাখার ব্যবস্থা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হয় কয়েক মাস আগে। এ বার উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় পরিকাঠামো গড়ার কাজ এগোবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি অশিক্ষক পদে (অ্যাসিস্ট্যান্ট-এ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট-বি) অস্থায়ী ভাবে লোক নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে দৈনিক মজুরি হিসাবে তাঁরা বেতন পাবেন। প্রার্থীদের ইংরেজি, নেপালি এবং বাংলা জানতে হবে। দফতরের কাজের বিষয়টিও জানানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)