Advertisement
E-Paper

ত্রাণ চেয়ে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরলেন দুর্গতরা

শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন, আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী জেমস কুজুর, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মারা বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে ত্রাণ বিলি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

নারায়ণ দে ও রাজু সাহা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০২:১৯
আশ্বাস: আলিপুরদুয়ারে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে ঘিরে বানভাসিরা। —নিজস্ব চিত্র।

আশ্বাস: আলিপুরদুয়ারে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে ঘিরে বানভাসিরা। —নিজস্ব চিত্র।

ত্রাণ নেই, নেই আশ্রয়ও। বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে দুর্গতদের কাছে ‘নেই-নেই’ অভিযোগ শুনে দ্রুত বৈঠকে বসলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী-সহ জনপ্রতিনিধিরা। প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হল, যে ভাবেই হোক সর্বত্র ত্রাণ পৌঁছতে হবে।

শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন, আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী জেমস কুজুর, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মারা বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে ত্রাণ বিলি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

এ দিন সকাল থেকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ভাটিবাড়ি, শোভাগঞ্জ, বীরপাড়া ও চাপাতলি এলাকায় ঘোরেন। এলাকাগুলিতে নদীর জল ঢুকে কয়েক’শো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন চাপাতলি এলাকায় কালজানি নদীর জলের তোড়ে প্রায় একশো মিটার ভেঙে যাওয়া বাঁধ দেখেন মন্ত্রী। সেখান থেকে বেরোনোর হওয়ার সময় শান্তিপাড়ার বহু মহিলা মন্ত্রীর গাড়ি দেখে সামনে চলে আসেন। মন্ত্রীর গাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে বন্যার পাঁচ দিন পরেও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ জানান তাঁরা। এলাকার বাসিন্দা গায়ত্রী রায়, অনিতা রায়, নীলকুমারী ঘোষদের ক্ষোভ, ‘‘বন্যার জলে ঘরের কিছুই অবশিষ্ট নেই। পড়ুয়াদের বই, খাবার কিচ্ছু নেই। সরকারিভাবে কোনও সাহায্য পৌঁছয়নি।’’ ঘটনাস্থল থেকেই গৌতমবাবু জেলাশাসকে ফোন করে দ্রুত এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থার কথা বলেন। বীরপাড়ার বাসিন্দা আবেদা বিবি জানান, কালজানি নদীর জলের তোড়ে তাঁর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। এখন এক প্রতিবেশীর বাড়িই আশ্রয়। ফরিদা বিবিরা জানান, ত্রাণের চাল পেলেও রান্না করার সামগ্রী নেই। কী করবেন বুঝতে পারছেন না কেউই।

এ দিন বৈঠকের পরে মন্ত্রী জানান, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র সাহায্য করছে না বলেও তিনি এ দিনও অভিযোগ তোলেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ বলেন, ‘‘সমস্ত জায়গায় ত্রাণ পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। বহু পড়ুয়ার বই খাতা নষ্ট হয়েছে আমারা তার জন্য শিক্ষা দফতর ও জেলা শাসককে জানিয়েছি।’’

TMC Gautam Deb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy