Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শৌচালয় থাকলেই রেস্তরাঁয় ট্রেড লাইসেন্স

মালবাজার পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক সীতারাম নন্দী বলেন, ‘‘পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু করেছি। আসলে রেস্তরাঁগুলিতে সপরিবার খেতে গিয়ে অনেকেই শৌচাগার খোঁজেন এবং না পেয়ে হতাশ হতে হয়। সেই অবস্থার উন্নতি ঘটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

মালবাজার পুরসভা।—ফাইল চিত্র।

মালবাজার পুরসভা।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালবাজার শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২২
Share: Save:

রেস্তরাঁয় বাধ্যতামূলক ভাবে মহিলা এবং শিশুদের জন্যে পৃথক শৌচাগার থাকতে হবে। আর সেই শৌচাগার নিশ্চিত হলে তার পরেই মিলবে ট্রেড লাইসেন্স। রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে এমন নির্দেশই এসে পৌঁছেছে মালবাজার পুরসভায়। এর পর থেকেই রেস্তরাঁ খোলার আবেদন নিয়ে পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করলেই আগে সেই আবেদন স্যানিটারি বা নিকাশি বিভাগের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সেই বিভাগের কর্মীরা খতিয়ে দেখছেন যে, ওই রেস্তরাঁয় মহিলা ও শিশুদের জন্য শৌচাগার রয়েছে কিনা। থাকলে, তবেই মিলছে ট্রেড লাইসেন্স।

মালবাজার পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক সীতারাম নন্দী বলেন, ‘‘পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু করেছি। আসলে রেস্তরাঁগুলিতে সপরিবার খেতে গিয়ে অনেকেই শৌচাগার খোঁজেন এবং না পেয়ে হতাশ হতে হয়। সেই অবস্থার উন্নতি ঘটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

শৌচাগার ছাড়াই যে পুরনো রেস্তরাঁগুলি চলছে, সেগুলিকেও শৌচাগার নির্মাণের বিষয়টি পুরসভা স্তর থেকে জানানো হবে বলে জানা গেছে। শৌচাগার না থাকলে পুরানো রেস্তরাঁর লাইসেন্স পুনর্নবীকরণে সমস্যা হতে পারে বলেও পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, পুরসভার এই নির্দেশে দু’ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছেন রেস্তরাঁর মালিকেরা। মালবাজার শহরেই টি-বুটিক চালায় স্থানীয় একটি সংস্থা। গ্রাহকদের জন্যে নির্দিষ্ট শৌচাগার সেখানে আগে থেকেই রয়েছে। সংস্থার তরফে শুভদীপ রায় বলেন, ‘‘রেস্তরাঁগুলিতে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার থাকাটা ভীষণ জরুরি।’’

মালবাজারের বাজার রোডে রেস্তোরাঁ কৌশিক জানার। বললেন, “ভাড়ার ছোট দোকানে তিন চারটির বেশি টেবিল পাতাই যেখানে দায়, সেখানে শৌচাগার করব কোথায়।’’ কৌশিকবাবুর মতো অন্য ছোট রেস্তরাঁর মালিকদেরও দাবি, জায়গা নেই বলেই শৌচাগার করা হয়নি।

মালবাজারে বিডিও অফিস সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ১০টির বেশি রেস্তরাঁ রয়েছে, যার একটিতেও শৌচাগার নেই বলে জানালেন বাসিন্দারা। গ্রাহকদের অভিযোগ, শৌচাগারের কথা বললেই পিছনে চা বাগানে যেতে বলেন। এই রেস্তরাঁগুলিতে কী ব্যবস্থা হবে, এখন সেই অপেক্ষাতেই বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE