হবু জামাইকে আশীর্বাদ করে বাড়ি ফেরার পথে পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হল শ্বশুরের। ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ি ফাঁড়ির গীতামোড় এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত খগেন চৌধুরী(৬০) মানিকচক থানার নারায়ণপুরের বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁর বড়ো ছেলে সুবর্ণ চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে কলকাতা স্থানান্তর করেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বাকিরা মালদহ মেডিক্যাল কলেজেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘পিকআপ ভ্যান ও ভুটভুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খগেনবাবুর মেজো মেয়ে কলাবতীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় মোথাবাড়ির বাঙিটোলার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চৌধুরীর। বুধবার দুপুরে একটি ভুটভুটি করে পাত্রকে আশীর্বাদ করতে গিয়েছিলেন খগেনবাবু। অনুষ্ঠান শেষ করে রাত আটটা নাগাদ মানিকচকের নারায়ণপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। মোথাবাড়ির গীতামোড়ের কাছে কালিয়াচকগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ভুটভুটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বাঙিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা খগেনবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর তাঁর ছেলে সুবর্ণ ও দুই আত্মীয় সাগর ও ভিক্ষু চৌধুরীর আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সুবর্ণকে কলকাতায় পাঠানো হয়।
আজ শুক্রবার বিয়ের কথা। তাই আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ। খাওয়ার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু অর্ডার করা হয়ে গিয়েছে। এমনকী, বাড়িতে প্যান্ডেলও করা হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খগেনবাবুর মৃত্যু ও একমাত্র ছেলে আশঙ্কাজনক থাকায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন গোটা পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy