প্রতীকী ছবি।
হাইকোর্টের বেঞ্চে শুনানি শুরুর বেশি বাকি নেই। তার আগে তড়িঘড়ি রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। রেসকোর্স পাড়া থেকে পোস্ট অফিস মোড় হয়ে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো তথা সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার শুরু করেছে পুরসভা। এই পথেই বিচারপতি ও আধিকারিকরা সার্কিট বেঞ্চ ভবনে যাতায়াত করে থাকেন। কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন সার্কিট বেঞ্চে ভার্চুয়াল শুনানি চলছিল। এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্ট ভবনে যাওয়ার বিভিন্ন দিকের রাস্তা ভাঙতে শুরু করে। রাস্তার কিছু জায়গায় এমন গর্ত তৈরি হয় যে, জল জমলে তাতে গোড়ালির ওপর পর্যন্ত অনেকটা অংশ ডুবে যাওয়ার কথা। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হত। আগামী সোমবার থেকে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্ট বেঞ্চে ফের শুনানি শুরু হচ্ছে। তার আগে এ দিন বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, “সার্কিট বেঞ্চ শুরু হচ্ছে, তাই জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকেই রাস্তা সংস্কারের অনুরোধ এসেছিল।”
এর আগে শহরে শুয়োর ঘুরে বেড়ানো বা তিস্তাপাড়ে জমায়েত নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভা এবং প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। শহরের রাস্তায় বড় বড় গর্ত বিচারপতিদের চোখে পড়লে ধমক খাওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ। দাবি, তাই তড়িঘড়ি এই সংস্কার। যদিও, হাইকোর্ট প্রশাসনের একাংশের তরফেই পুরসভা এবং পূর্ত দফতরকে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করতে বলা হয়েছিল বলে খবর। জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, শহর জুড়েই রাস্তায় খানাখন্দ রয়েছে। বৃষ্টিতে সে ফাটল চওড়া হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের দাবি রয়েছে শহর জুড়েই। এরই মাঝে শুধু সার্কিট বেঞ্চের রাস্তা সংস্কার হওয়ায় অন্যত্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সির কথায়, “মহামান্য হাইকোর্টে যাওয়ার রাস্তা সংস্কার হচ্ছে ঠিক কথা। কিন্তু শহরের অন্যান্য প্রান্তে যে সাধারণ মানুষজন থাকেন, সে কথা পুরসভা ভুলে গেল কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy