লুঠ: চুরি হয়েছে এই পঞ্চায়েত দফতরেই। নিজস্ব চিত্র
পরপর সাতটি ঘরের তালা ভেঙে লুঠপাট চালালো একদল দুষ্কৃতী। শুক্রবার গভীর রাতে কালিয়াচক ২ ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের ঘটনা। এ নিয়ে গত দেড় বছরে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটল এই পঞ্চায়েত অফিসে।
অভিযোগ, এবার অফিসের কম্পিউটার, প্রিন্টার, কপিয়ার মেশিন চুরি করে নেওয়ার পাশাপাশি দফতরের আটটি আলমারি ভেঙে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও লুঠ করা হয়। এছাড়া সমস্ত আলমারির কাগজপত্রও লন্ডভন্ড করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতে ঘটনাস্থলে যান পঞ্চায়েত প্রধান বন্দনা সরকার, কালিয়াচক ২ ব্লকের বিডিও অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়। মোথাবাড়ি থানার পুলিশও যায় সেখানে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দফতরের অস্থায়ী নৈশপ্রহরীকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই পরপর এমন চুরির ঘটনা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
কালিয়াচক ২ ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতটি এখন তৃণমূলের দখলে। বছরখানের আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তাঁরা বোর্ডটি ছিনিয়ে নেয়। প্রায় দেড় বছর আগে একবার এই গ্রাম পঞ্চায়েতে চুরি হয়েছিল। ন’মাস আগেও একই কায়দায় এই অফিসে চুরি হয়েছিল। তাতে কয়েকজন ধরাও পড়েছিল। দ্বিতল এই অফিসের নীচের তলায় যে সাতটি ঘর রয়েছে সেগুলোতেই তালা ভেঙে চুরি হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নৈশপ্রহরী হারু মাহারার দাবি, শরীর খারাপ লাগায় শুক্রবার রাত ১২ টা নাগাদ তিনি বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন।
এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে পরপর চুরির ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোর তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের কালিয়াচক ২ ব্লক সভাপতি দুলাল শেখ অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই পরপর চুরি হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘চোরেরা অফিসের কাগজপত্র লুঠ করবে কেন?’’ প্রকৃত তদন্ত হলেই সব জানা যাবে বলে তাঁর দাবি। তৃণমূলের মোথাবাড়ি বিধানসভা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম অবশ্য বলেন, ‘‘কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। চুরির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কই নেই।’’ পঞ্চায়েতে এখন সমস্ত পরিষেবা অনলাইনে দেওয়া হয়। কম্পিউটার চুরি হওয়ায় সেই পরিষেবা দিতে কিছুদিন সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy