Advertisement
E-Paper

১২ ঘণ্টা গাড়ি বন্ধে সরব আরএসপিও

গত বছরের ওই সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ শাসকদলের একাংশও। বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জেলার দর্শনার্থীদের অসুবিধা আমরা চাই না। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জেলাশাসককে বলা হয়েছে। জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২০
পরিবহণে সঙ্কটের আশঙ্কা।

পরিবহণে সঙ্কটের আশঙ্কা।

দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বালুরঘাটে টানা ১২ ঘণ্টা বাইক ও ছোটগাড়ি চলাচলের উপর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিজেপির পাশাপাশি এ বার সরব হল আরএসপিও। বালুরঘাটের বিধায়ক তথা আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘গতবার ওই সিদ্ধান্তের জেরে সাধারণ মানুষ প্রতিমা দেখতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন। মোটরবাইক ও চারচাকার ছোটগাড়ি পুজোর সময়ে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা যেতে পারে। তা না হলে জেলার বাইরে থেকে ছোটগাড়ি নিয়ে আসা দর্শনার্থীরা শহরে ঢুকতে না পেরে চরম সমস্যায় পড়বেন। যে কারণে গতবছর বালুরঘাটের মণ্ডপগুলিতে ভিড় ছিল না।’’ আরএসপির এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে ওই দাবি জানান।

গত বছরের ওই সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ শাসকদলের একাংশও। বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জেলার দর্শনার্থীদের অসুবিধা আমরা চাই না। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জেলাশাসককে বলা হয়েছে। জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার বলেন, ‘‘বালুরঘাটের মতো শহরে গতবার ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে মানুষ সমস্যায় পড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করেছিলেন। মন্ত্রী, পুরসভা থেকে জেলাপরিষদ, সবই তো শাসকদলের ক্ষমতায়। তা হলে যানজট রোধে গত এক বছরে কেন বালুরঘাটের রাস্তাঘাট চওড়া করা হল না?’’

বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রতিবাদকারীদের পুলিশ থানায় দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে চরম হেনস্থা করে। পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। মত প্রকাশের স্বাধীতনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে কলকাতায় প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছিল। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, মন্দাক্রান্তা সেনরা বালুরঘাটে এসে প্রতিবাদ আন্দোলন করেন। এসপির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়। তার পরেও এ বছর একই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলার দুই বিজেপি নেতা মানস সরকার এবং নীলাঞ্জন রায়। তাঁদের দাবি, নতুন জেলাশাসককে দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করানো হয়েছে। এ বিষয়ে এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, রাত ১টার পর থেকে বালুরঘাটে ছোটগাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক। তাহলে বালুরনিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট: দু র্গাপুজোর দিনগুলিতে বালুরঘাটে টানা ১২ ঘণ্টা বাইক ও ছোটগাড়ি চলাচলের উপর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিজেপির পাশাপাশি এ বার সরব হল আরএসপিও। বালুরঘাটের বিধায়ক তথা আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘গতবার ওই সিদ্ধান্তের জেরে সাধারণ মানুষ প্রতিমা দেখতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন। মোটরবাইক ও চারচাকার ছোটগাড়ি পুজোর সময়ে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা যেতে পারে। তা না হলে জেলার বাইরে থেকে ছোটগাড়ি নিয়ে আসা দর্শনার্থীরা শহরে ঢুকতে না পেরে চরম সমস্যায় পড়বেন। যে কারণে গতবছর বালুরঘাটের মণ্ডপগুলিতে ভিড় ছিল না।’’ আরএসপির এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে ওই দাবি জানান।

গত বছরের ওই সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ শাসকদলের একাংশও। বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জেলার দর্শনার্থীদের অসুবিধা আমরা চাই না। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জেলাশাসককে বলা হয়েছে। জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার বলেন, ‘‘বালুরঘাটের মতো শহরে গতবার ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে মানুষ সমস্যায় পড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করেছিলেন। মন্ত্রী, পুরসভা থেকে জেলাপরিষদ, সবই তো শাসকদলের ক্ষমতায়। তা হলে যানজট রোধে গত এক বছরে কেন বালুরঘাটের রাস্তাঘাট চওড়া করা হল না?’’

বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রতিবাদকারীদের পুলিশ থানায় দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে চরম হেনস্থা করে। পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। মত প্রকাশের স্বাধীতনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে কলকাতায় প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছিল। আইনজীবী বিকাশ

ভট্টাচার্য, মন্দাক্রান্তা সেনরা

বালুরঘাটে এসে প্রতিবাদ আন্দোলন করেন। এসপির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়। তার পরেও এ বছর একই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলার দুই বিজেপি নেতা মানস সরকার এবং নীলাঞ্জন রায়। তাঁদের দাবি, নতুন জেলাশাসককে দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করানো হয়েছে। এ বিষয়ে এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, রাত ১টার পর থেকে বালুরঘাটে ছোটগাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক। তাহলে বালুরঘাট এবং হিলির বিগবাজেটের পুজোগুলি এ জেলার দূরের ব্লকের মানুষের পাশাপাশি পাশের জেলা রায়গঞ্জ ও মালদহের মানুষও ছোটগাড়ি নিয়ে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। সে জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

ঘাট এবং হিলির বিগবাজেটের পুজোগুলি এ জেলার দূরের ব্লকের মানুষের পাশাপাশি পাশের জেলা রায়গঞ্জ ও মালদহের মানুষও ছোটগাড়ি নিয়ে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। সে জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

Balurghat Transport RSP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy