গুলিতে জখম তৃণমূল কর্মী সাহেব মিয়াকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার গীতালদহ এলাকা। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই গীতালদহ বাজার এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি, গুলিচালনা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। সাহেব মিয়া নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, এক দিকে রয়েছেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন। অন্য দিকে রয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবু আল আজাদ ও তাঁর দলবল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ভোটপ্রচারে গেলে তাতে আবু ও তাঁর অনুগামীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরও ওই এলাকায় শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল থামেনি। বরং তা চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ।
নুর আলমের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই আবুর লোকজন গীতালদহ বাজারে বোমাবাজি করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আবুর নেতৃত্বে দলবল এসে তৃণমূল কর্মী সাহেবকে লক্ষ্য করে গুলি করে বলে অভিযোগ। পায়ে গুলি লেগে জখম হন সাহেব। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও আবুর পাল্টা দাবি, ‘‘সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে প্রধানকে বদল করেছিলাম আমরা। পঞ্চায়েত দখল করার জন্য রবিবার ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্যকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নুর আলমের লোকজন আমার এক কর্মীর উপর হামলা চালায়। আমি ঘটনাস্থলে গেলে নুর আলমের লোকজন সেখানে গুলি চালাতে শুরু করে। তাদের মধ্যে এক জন নিজের পায়ে নিজেই গুলি করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy