প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাকে বাঁচাতেই তাকে ‘বলি’ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা আগেই অভিযোগ করেছিলেন সাস্মিতা ঘোষ৷ গ্রেফতারের পর এ দিন আদালতে পেশ করার সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে গোটা ঘটনায় জলপাইগুড়ির এক প্রাক্তন জেলাশাসকের সম্পর্ক রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি৷ আদালত এ দিন সাস্মিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷
এ দিন জলপাইগুড়ি আদালতে নিয়ে আসার সময় সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে সাস্মিতা বলেন, “সরকারি নির্দেশেই কাজ করেছি৷ যদি তা ভুল হয়ে থাকে, তবে যাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন৷” সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আগের জেলাশাসকের কী কোনও দায় আছে? যার উত্তরে সাস্মিতার জবাব, “নিশ্চয়ই আছে৷”
শুনানি শেষে এজলাস থেকে বেরনোর সময় তিনি আরও বলেন, “একটা নথিভুক্ত চাইল্ড কেয়ার ইউনিটে কেয়ারের জন্য শিশু পাঠান কি অন্যায়? আমি কোনও ভুল করিনি৷ আমায় অন্যায় ভাবে কোনও ভিত্তি ছাড়াই এর মধ্যে রাখা হয়েছে৷ যে সব তথ্য পেয়েছি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে আমার আধিকারিকদের জানিয়েছি৷”