Advertisement
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় জেলার সব বিধায়কই

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের জেরে এই জেলার ১২ জন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিধায়কদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৎপরতা শুরু করছে মালদহ জেলা পুলিশ।

শেষযাত্রায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।— নিজস্ব চিত্র।

শেষযাত্রায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৩
Share: Save:

কিছুটা হলেও নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে মালদহে। শাসক দলের তো বটেই, বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি এবং নেতারাও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের মুখে অনেকেই নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের জেরে এই জেলার ১২ জন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিধায়কদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৎপরতা শুরু করছে মালদহ জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের নির্দেশে জেলার বিধায়কদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

তৃণমূলে যোগ দেওয়া মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, নিরাপত্তা নিয়ে তিনিও শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন সাবিনা। যদিও তাঁর একজন দেহরক্ষী রয়েছে বলে খবর। তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের দু’জন দেহরক্ষী রয়েছেন। তিনি বলেন, “কিছু দল রাজ্যকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করে তৃণমূলে যাঁরা জনপ্রিয় তাঁদের এভাবে খুন করার ছক করেছে।’’ সুজাপুরের কংগ্রেসী বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, “২০১১ সালে আকন্দবাড়িয়াতে আমার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়েছিল। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচি। সেই সময় থেকে আমার দু’জন দেহরক্ষী রয়েছে। তারপরেও বলব, সরকারের উচিত জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে নজরদারি বাড়াতে।’’

হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেসি বিধায়ক মোস্তাক আলম এখন মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতিও। তিনি বলেন, “কষ্ণগঞ্জের ঘটনা মর্মান্তিক। আমরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই জেলার কংগ্রেসি বিধায়কদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলে আসছি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন কর্ণপাতই করছে না। মঙ্গলবার ফের পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানাব।’’ এদিকে বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারের অভিযোগ, ‘‘২০১৬ সালের বিধানসভা গঠনের পর থেকে এপর্যন্ত অন্তত আটবার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী চেয়ে প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পার হলেও

দেহরক্ষী মেলেনি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnaganj TMC MLA Murder Crime Police MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy