Advertisement
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভাবমূর্তির জন্য কি গরহাজিরা 

অনুগামীরা ভাবতে পারেন, ভয় পেয়েছেন। তাই নিরাপত্তা নিয়ে  পুলিশের ডাকা বৈঠকে গেলেন না নেতারা। শাসক দলের অন্দরেরই খবর, বার্তা খারাপ যেতে পারে, তাই নানা অজুহাতে বৈঠক এড়িয়ে গেলেন সকলেই। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫০
Share: Save:

অনুগামীরা ভাবতে পারেন, ভয় পেয়েছেন। তাই নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের ডাকা বৈঠকে গেলেন না নেতারা। শাসক দলের অন্দরেরই খবর, বার্তা খারাপ যেতে পারে, তাই নানা অজুহাতে বৈঠক এড়িয়ে গেলেন সকলেই।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টেয় কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাঁদের। ওই আলোচনায় জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তের থাকার কথা ছিল। পুলিশ অবশ্য বসে না থেকে মন্ত্রী, সাংসদদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “অনেকেরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সভা-মিটিংয়েও নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।’’ জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে অনেককে ডাকা হয়েছিল। বাইরে এ বিষয়ে সব বলা সম্ভব নয়। ”

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের পর থেকেই কোচবিহারে মন্ত্রী-বিধায়ক ও সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে পুলিশ-প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বৈঠকে বসেন পুলিশ কর্তারা। সব থানাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিধায়ক ও সাংসদদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এর পরেও কোনও ফাঁক রয়েছে কি না তা জানতেই মন্ত্রী-বিধায়ক ও সাংসদকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন পুলিশ কর্তারা। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বা সিতাইয়ের জগদীশবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা বৈঠক নিয়ে কিছু জানেন না। বনমন্ত্রী, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, বিধায়ক হিতেন বর্মন এবং মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান জানান, তাঁরা ব্যস্ততার কারণে এদিন পুলিশ সুপারের অফিসে যেতে পারেননি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দিন কয়েক ধরেই জেলার বাইরে ছিলেন।

নেতাদের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, ভয় অনেকেই পাচ্ছেন। বিশেয করে কোচবিহারের নেতারা। কিন্তু তা প্রকাশ করতে চাইছেন না কেউই। মুখে সকলেই নবলছেন, মানুষ সঙ্গে রয়েছেন। অনুগামীরাই পাশে রয়েছেন। পুলিশ প্রহরা নেওয়া মানেই জনতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে। তাই পুলিশের বৈঠকে কেউ যাননি।

এক বিধায়ক বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বেশি হইচই করলে সবাই ভাববে আমরা ভীত হয়ে পরেছি। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। দুষ্কৃতী নামিয়ে বেশি দিন কিছু করা যায় না। মানুষই রুখে দাঁড়াবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “বিজেপির উপরই নানা জায়গায় হামলা করছে তৃণমূল। আর নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে খুনোখুনি করছে তারা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnaganj TMC MLA Murder Satyajit Biswas TMC MLA Meeting Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy