Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সাবিত্রী লজ দিয়ে শুরু হবে সংরক্ষণ

কোচবিহারকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে দেখেছেন আইটিআই খড়গপুরের এক প্রতিনিধি দল। জেলা প্রশাসনের তরফেও সমস্ত প্রাচীন নির্দশন, ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

ভুতুড়ে: জঙ্গলে ঢেকে পোরো বাড়ি সাবিত্রী লজ। —নিজস্ব চিত্র।

ভুতুড়ে: জঙ্গলে ঢেকে পোরো বাড়ি সাবিত্রী লজ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১০:৪০
Share: Save:

হেরিটেজ ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে কোচবিহারে প্রাচীন নিদর্শনের হাল ফেরানোর কাজে নামছে প্রশাসন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্মৃতি বিজড়িত ‘সাবিত্রী লজ’ সংস্কারের মাধ্যমে তার সূচনা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে আর্থিক বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই প্রথম দফার সংস্কার হবে। তার পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “শীঘ্রই সংস্কার শুরু হবে।”

কোচবিহারকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে দেখেছেন আইটিআই খড়গপুরের এক প্রতিনিধি দল। জেলা প্রশাসনের তরফেও সমস্ত প্রাচীন নির্দশন, ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে সাবিত্রী লজও রয়েছে। দেখভালের অভাবে আগাছার জঙ্গলে ঢাকা, পলেস্তারা খুলে পড়া জরাজীর্ণ বাড়িটিকে প্রথম মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল অগ্রবাল জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ওই বাড়িটি সংস্কারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা মিলেছে।

ইতিহাস গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ১৮৮৫ সালে টেম্পল স্ট্রিট লাগোয়া এলাকায় মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের আত্মীয় এক ভাই গজেন্দ্রনারায়ণ (সিনিয়র) বাড়িটি তৈরি করেন। তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী ছিলেন মহারানি সুনীতি দেবীর বোন। বিংশ শতকের প্রথমে মামলা সংক্রান্ত কাজে কোচবিহারে এসে ওই বাড়িতে প্রায় তিন মাস ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, কবি অতুলপ্রসাদ সেন। গজেন্দ্র নারায়ণের প্রপৌত্রী তথা কোচবিহার রাজ পরিবারের বংশোদ্ভুত শিক্ষাবিদ সেবন্তী নারায়ণ বলেন, “অনেক আগেই এটার দরকার ছিল।” হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “দীর্ঘদিন আমরাও সংস্কার চাইছিলাম। খুব ভাল লাগছে।’’

সাবিত্রী লজ ছাড়া ম্যাগাজিন সেন্ট্রি পোস্ট, বাণী ভবন, পাওয়ার হাউস, জলস্তম্ভ, কমলা কুটির, কবিরাজ বাগান সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ হচ্ছে। বাসিন্দাদের কয়েক জনের বক্তব্য, আগে এমন উদ্যোগ থাকলে ব্রজভিলা, রাজামাতা ওয়ার্ড, নীলকুঠি হাউসের মত ভবন বিলুপ্ত হত না। সাবিত্রী লজ ‘ভূতবাড়ি’ বলেও পরিচিত হত না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE