ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোচবিহারে। এ বার সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার টাকাগছ এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতেই শিশুর পরিবারের তরফে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। রাতেই বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ওই ব্যাপারে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাড়ির পাশেই অভিযুক্ত ছাত্রের বাড়ি। মাঝে মধ্যে শিশুটির তাদের বাড়িতে যেত। রবিবার দুপুরে অভিযুক্ত কিশোর টিভিতে কার্টুন দেখানোর নাম করে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁকা ঘরে ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিছু ক্ষণ বাদে শিশুটির কান্না শুনে তার মা ছুটে যান। টিভির ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। একটি জানালা খোলা থাকায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তারপরেই চিৎকার জুড়ে দেন। এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তাদের চেষ্টায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুর মা এ দিন কোচবিহার জেলা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, “ওই কিশোর মেয়েকে বোন বলে ডাকত। ফলে কোনও সময় খারাপ কিছু করবে এমনটা ভাবিনি। তাই ও নিয়ে যেতে চাইলে আপত্তি করিনি। সব ধারণা উলটে গিয়েছে।”
ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন খবর জেনেই পুলিশে অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্তের অভিভাবকেরা অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। তবে তাঁদের এক ঘনিষ্ঠের দাবি, তদন্ত হচ্ছে। ফলে আপাতত ওই ব্যাপারে কিছু বলতে চান না তাঁরা। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা অবশ্য জানান, রাতে এ নিয়ে দুই পরিবারের বাদানুবাদের সময় অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই ছাত্রের বাড়ির লোকেরা। যদিও শিশুকন্যার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনা আড়াল করতে চাইছেন অভিযুক্তরা।
এই নিয়ে কোচবিহারে পরপর তিনটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। কালীপুজোর রাতে বেলেরডাঙা গ্রামের দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার দুই যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের একজন ঘটনার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। অন্য জন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ৩১ অক্টোবর কোচবিহার কোতোয়ালি থানার গোপালপুর এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy