দুর্ঘটনার জেরে এমনই হাল হয় স্কুলবাসটির।
শিলিগুড়ির পরে ধূপগুড়ি। ফের বেপরোয়া সেনাগাড়ির দাপট! সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সেনাট্রাকের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন এক মহিলা। এ বার পড়ুয়াবোঝাই দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল বাসে ধাক্কামারল সেনা বাহিনীর ওয়াটার ট্যাঙ্কার। দুর্ঘটনায় জখম তিন পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার ধূপগুড়ির ডাউকিমারি রোডে মাগুরমারি এলাকার ঘটনা।
শুক্রবার স্কুলছুটির পরে ধূপগুড়ির হরিমন্দির এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি নামাতে যাচ্ছিল বাসটি। মাগুরমারিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাসটি কয়েক জন পড়ুয়াকে নামাচ্ছিল। বাসে তখন দশ জন পড়ুয়া বসে ছিল। দুপুর আড়াইটা নাগাদ বিএসএফের ওয়াটার ট্যাঙ্কার স্কুল বাসটির পিছনে দাঁড়াতে গিয়ে ধাক্কা দেয়। সে সময় বৃষ্টি চলছিল। সেনাগাড়ির চালক কেশরী রায় বলেন, “বৃষ্টির ফলে ব্রেক কষলেও চাকা পিছলে গিয়ে বাসের পিছনে একটু ধাক্কা লাগে।” তবে ধাক্কা যে বেশ জোরেই লেগেছে তা বোঝা গিয়েছে বাসটির অবস্থা দেখেই। অভিভাবকদের প্রশ্ন, হলুদ স্কুলবাস সামনে আছে দেখে সেনার গাড়ির চালকের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
আহত পড়ুয়া।
পড়ুয়াদের বাড়ি ধূপগুড়ির মাগুরমারি ও ডাউকিমারি এলাকায়। দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসে ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে কোন পড়ুয়া গুরুতর জখম হননি। হাসপাতালে জখমদের কয়েকঘণ্টা রেখে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর বাসিন্দারাই জখমদের উদ্ধার করে। দমকল ও পুলিশ খবর পেয়ে জখমদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথম শ্রেণির ছাত্র আহত স্নেহাশিস রায় বলে, “কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। বাসের মধ্যে সিট থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে আমার কপাল ও হাত কেটে যায়।”
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় পড়া গাড়ি দু’টিকে আটক করা হয়েছে। সেনাগাড়ির চালককেও আটক করে জিজ্ঞাবাদ চলছে। স্নেহাশিসের বাবা বিজয় রায় বলেন, “সেনাগাড়ির চালকের উদাসীনতায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। চলতি অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারত।”
ছবি: রাজকুমার মোদক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy