Advertisement
E-Paper

ধৃতদের ছাড়ানোর দাবিতে বন্ধ স্কুল

হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ধৃতদের ছাড়ানোর দাবিতে বন্ধ হল স্কুল। শনিবার সকালে শিলিগুড়ির দাগাপুরে একটি ইংরেজি মাধ্যমস্কুলের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পড়ুয়াদের আনতে যাওয়ার জন্য বাসগুলিকে স্কুলেই আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১০
বাস বেরোতে দেওয়া হয়নি শিলিগুড়ির ওই স্কুল থেকে। — নিজস্ব চিত্র

বাস বেরোতে দেওয়া হয়নি শিলিগুড়ির ওই স্কুল থেকে। — নিজস্ব চিত্র

হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ধৃতদের ছাড়ানোর দাবিতে বন্ধ হল স্কুল। শনিবার সকালে শিলিগুড়ির দাগাপুরে একটি ইংরেজি মাধ্যমস্কুলের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পড়ুয়াদের আনতে যাওয়ার জন্য বাসগুলিকে স্কুলেই আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ক্লাস শুরুর সময় হয়ে গেলেও, বাসগুলিকে বের হতে দেওয়া হয়নি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পড়ুয়াদের। বিক্ষোভ চলতে থাকায় এ দিন স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

শনিবার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা ছিল। সেগুলি সবই স্থগিত করা হয়। তবে সোমবারেও স্কুলে স্বাভাবিক পঠন পাঠন হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে এ দিন।

গত বৃহস্পতিবার মাটিগাড়ার ইএসআই হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের একদল পরিজনদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে। ধৃত সাতজনের সকলেই এই বেসরকারি স্কুলের চুক্তি ভিত্তীক কর্মী অথবা কর্মীর আত্মীয়। পরদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সকলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই কর্মীদের মধ্য়ে অসন্তোষ তৈরি হতে থাকে। এ দিন সকালে স্কুলের কর্মীদের একাংশ জড়ো হয়ে দাবি করতে থাকে, ধৃতদের মুক্তি দিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি ওঠে। কর্মীদের কয়েকজন দাবি করে বলেন, ‘‘বিনা কারণে আমাদের আত্মীয়দের গ্রেফতার করা হয়েছে। ওরা ঘটনাস্থলে থাকলেও কেউ ভাঙচুরে জড়িত নয়। পুলিশ কোনও তদন্ত না করেই গ্রেফতার করেছে।’’ স্কুলে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কর্মীদের দাবি, স্কুলের তরফে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছু করা হয়নি।

স্কুলের তরফে দাবি করা হয়েছে, পুরো বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্কুলের অধ্যক্ষ সত্যপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘যে ভাবে আজ স্কুল বন্ধ হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনাও করছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’’ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্কুলে বিক্ষোভের কথা পুলিশকে সময়মতো জানানো হয়নি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘কাউকে আইন হাতে নিতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি দেখছি।’’

এ দিন হঠাৎই স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। অভিবাকদের একাংশের দাবি, স্কুল এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘যার যেমন দাবি তা নিয়ে বিক্ষোভ করবে, আর স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে তা মানা যায় না।’’

School bus distress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy