প্রতীকী ছবি।
স্কুলে এ বার বার্ষিক পরীক্ষাই হল না। নতুন শ্রেণিতে ওঠার শংসাপত্রও মিলল না। তারমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি। সেখানেই পরিষ্কার হচ্ছে কোন স্কুলে কত ছাত্রছাত্রী স্কুলছুট হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন মিলিয়ে টানা দশ মাস বন্ধ স্কুল। কবে স্কুল খুলবে জানা নেই। তারমধ্যে এসে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলেছে নবম ও একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের কাজ। সেখান থেকেই উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। যা নিয়ে চিন্তিত স্কুলগুলো।
চাকুলিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দে বলেন, ‘‘আমি স্কুলের ছাত্রদের ফোন নম্বর নিজের কাছে রাখি। যাদের ফোন নেই, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিই। গ্রামে-গ্রামে গিয়ে দেখি, সপ্তম শ্রেনির অনেকে মিষ্টির দোকানে, আনাজের দোকানে কাজ করছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা পঞ্জাব, দিল্লি, বিহারে গিয়ে কাজে লেগেছে।’’
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে স্কুলগুলো থেকে যে তথ্য মিলেছে তাতে, সপ্তম শ্রেণিতে স্কুলছুটের হার দুই থেকে তিন শতাংশ। নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত সংখ্যাটা প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। গোয়ালপোখরের লোধন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মহম্মদ নাসিম আখতার বলেন, ‘‘এলাকার বেশ কিছু ছাত্র ভিনরাজ্য কাজ করছে।’’ এবিটিএ শিক্ষক সংগঠনের সদস্য গৌতম বর্মন বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির বলি ছাত্ররা। অনেক ছাত্র বাধ্য হয়ে সংসার সামলাতে বাইরে কাজে চলে যাচ্ছে।’’
তৃণমূলের শিক্ষা সেল এর সদস্য অসীম মহন্ত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলছুট রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী, বিভিন্ন প্রকল্প, ভাতা পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্তমতো প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। আশা করা যায়, এ ভাবে সংযোগ রক্ষা করা গেলে স্কুলছুট অনেকটাই কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy