ফালাকাটার একটি সরকারি স্কুলের মাঠেই বসছে বাজার। আর এতেই স্কুল পরিচালনায় সমস্যা পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ফালাকাটার সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম শিশু সদন স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব মাঠও আছে। কিন্তু অভিযোগ, এই মাঠে খেলার সুযোগ হয় না পড়ুরাদের। এমনকি বিদ্যালয় শুরুর আগে প্রার্থনা করার মতো জায়গাও নেই সেই মাঠে। এক অভিভাবকের কথায়, “স্কুলের মাঠ জুড়ে বসে বিশাল বাজার। স্কুলের সামনেই প্রকাশ্যে কাটা হয় মাছ, মাংস। স্কুলের বারান্দাতেও আনাজ বিক্রেতারা তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। বাজারের যাবতীয় নোংরা, আবর্জনা সব স্কুলের মাঠেই ফেলা হয়। তার থেকে ছড়ায় দুর্গন্ধ। ফলে ঠিক সময়ে স্কুল শুরু করতেও সমস্যায় পড়েন শিক্ষকেরা।”
বিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই ভাবে বিদ্যালয়ের ভিতরে বাজার বসায় দিন-দিন পড়ুয়ার সংখ্যাও কমছে। বর্তমানে এই স্কুলে ৮০ জন পড়ুয়া এবং ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। স্কুলের মিডডে মিলের রান্না ঘরের সামনেও জমে থাকে আবর্জনার স্তূপ। স্কুলের বারান্দায় বাজার বসায় কিছু শ্রেণিকক্ষও পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই দত্ত বলেন, “বিদ্যালয়ের মাঠে বাজার বসার বিষয়টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, পুরপ্রধান, পুরপ্রতিনিধি ও বিডিওকে জানিয়েছি। আমাদের এই সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে আন্দোলনে নামব।”
এলাকাবাসী তথা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পিন্টু দত্ত বলেন, “আমি এই স্কুলে পড়াকালীন এখানে কোনও বাজার ছিল না। পরে স্কুলের পাশেই রাস্তার ধারে দু’একজন আনাজ নিয়ে বসতেন। ধীরে ধীরে সেই বাজার স্কুলের মাঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে। আমরাও চাই স্কুলের মাঠটি পড়ুয়াদের জন্য উন্মুক্ত হোক।”
এ বিষয়ে ফালাকাটার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রাজা ভৌমিক বলেন, “শিশু সদন স্টেট প্ল্যান্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মাঠ জুড়ে বাজার বসায় নানা সমস্যা হচ্ছে। আমরা স্কুলে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।”
পুরপ্রতিনিধি অসীম দেব বলেন, “স্কুল মাঠ থেকে বাজারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলর-এর মিটিংয়ে জানিয়েছি। অন্যত্র একটি জায়গাও দেখা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)